তুরুক-তুরুক ময়না পাখির
কানে হলুদ গয়না,
অধরে লাল রং লিপেছে
গর্বে কথা কয় না।


ধূসর কালো শাড়ী প'ড়ে
তাথৈ-তাথৈ নাচে,
শান্ত হ'য়ে রয় না পাখি
ফেরে গাছে গাছে।


নয় সে রূপে রূপবতী
নজর সুকুমার,
তার বুলিতে বেজায় খুশী
ভুবন চরাচর।


ফল ফলাদি পোঁকা মাকড়
যখন যেমন পায়,
টকর-টকর আলাপ সেধে
মনের সুখে খায়।


একা চোরা ময়না পাখি
আপন মনেই থাকে,
কাক পাখিকে দেখলে কাছে
পারলে খানিক বকে।


রন্টু শুধায়,ময়না দিদি
একটা কথা বলো,
সত্যি কিগো তোমার গলায়
আলপিন বিঁধেছিল ?


ময়না বলে,না রে ও সব-
ঐতিহাসিক পাগলামি,
তোদের শান্ত রাখতে গিয়েই
করলো আমায় বদনামী।


দুঃখ তাতে হয়না যখন
দেখি তোদের খুশি,
আমার মনে খেলায় যখন
তোদের অবুঝ কুশি।


ঐতিহাসিক নয়-রে স্বাধীন
রাজার মতেই চলে,
শোষণ পোষণ আগলে রেখে
রাজার কথাই বলে।


পরম্পরার সুপ্ত আছে
দারুণ মর্ম ব্যাথা,
লিপিবদ্ধ নাই বলে তাই
ব্রাত্য মুখের কথা।


হুকুম মতো লেখা হলো
যুগের ইতিহাস,
কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা
আজও পরিহাস।


পশু-পাখি ধার ধারেনা
ইতিহাসের পাতা,
সৃষ্টি থেকে একই আছে
যেমন জগৎ মাতা।


সৃষ্টি স্বভাব মনে রেখেই
মোরা আনন্দেতে,
কিন্তু খুকু বলতো তোরা
আছিস সুরক্ষাতে ?


ঐতিহাসিক লিখলো কভু
মায়ের মনের ব্যাথা,
পণ প্রথা আর বলাৎকারে-
বেহাল নারীর কথা ?


ভরম কথায় চলছে জগৎ
ভিতর ভরা বিষে,
তিক্ত মুখের মিষ্টি বুলি
মুখোশ তুলির শীষে।


অধিকাংশ মুখোশ মানুষ
স্বার্থে অনুরক্ত,
জাত বেসাতির তকমা এঁটে                                  
গণতন্ত্রের ভক্ত।


©মেহেদী হাসান রনি
®roney007