বর্ষণমুখর শ্রাবণের কোন এক রাতে ,
এক চিলতে ভেজা কাপড়ে অঙ্গ ডেকে ,
তুমি এসেছিলে আমার ঘরে ;
আমি মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলাম,’ভেজা তোমার অঙ্গখানি !’
যৌবনের উত্তাপ যেন ঠিকরে বের হচ্ছে !
কতইবা বয়স তখন তোমার ,
ষোল পেরিয়ে সতেরয় পা রেখেছ হয়ত !
আমার তখন পচিশ ।
আবছা আলোয় তোমাকে সেদিন মনে হয়েছিল,
স্বর্গ থেকে নেমে আসা কোন এক অপ্সরী !
তোমার সে চিরায়ত শাশ্বত রমনীর রূপ দর্শনে
আমি হয়েছিলাম দিশেহারা ;
কামনার আগুনে ঝলসে উঠেছিল আমার যৌবন ,
কম্পিত হাতে তোমায় কাছে টেনেছিলাম ।
ঘরের বাইরে তখন মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল ,
প্রচন্ড শব্দে বজ্রপাত হয়েছিল ,
দুহাতে আমায় তুমি আকরে ধরলে ।
বর্ষণমুখর শ্রাবণের সেই রাতে
তুমি আমি মিলেমিশে হলাম একাকার !
তারপর কত শ্রাবণ রাত একা একা কেটেছে আমার ,
কেটেছে কত বিনিদ্র রজনী ,
সে রাতের স্মৃতি রোমন্থনে ।
আজ তুমি নেই কাছে, আছো বহুদূরে ;
তবুও তোমারে পারিনা ভুলিতে ,.
বিরহ জ্বালায় আমি আজ জ্বলেপুড়ে অঙ্গার ।


আজ তুমি কোথায় ? আমি কোথায় ? নেই কোন সংযোগ !
আছে শূন্যতায় ভরা সেদিনর কিছু স্মৃতি
আর আছে বর্ষণমুখর শ্রাবণের রাত!