ফেরিওয়ালী সেজে ফেরি কর তোমার যৈাবন
দুটি স্তনের মাঝে গভীর উপত্যকার নির্জলতায়
বুক খুলে হাসে কত নিষ্ঠুর হায়নারা
নিরুপায় তুমি, যোনীতে যোনীতে
গেধেঁ রেখেছো চকচকে বর্শার ফলা
প্রতিরাতের হিংস্র উম্মাদনায় প্রেমহীন উৎসবে
তোমার রষায়িত রজনীগন্ধায় লাগে রক্তের ছিটা
নিশ্চুপ ভাবে সহ্য করে যাও ঠোটের কোনে হাসির রেখা টেনে
যে হাসিতে রয়েছে শুধু ছলনা বিদ্রুপ অসহ্য যন্ত্রনা
মিশে থাকে ঔরসের মৌতাত উপহারের রসায়নে
তুমি কুমারী হয়েও নশ্বর করে ফেলো তোমার যোনীদেশ ।
সঙ্গম শেষে বাথরুমের কুৎসিত আয়নাকে গিয়ে প্রশ্ন করো
এ তুমি কোন তুমি ???
কুমারী ? সধবা ? বিধবা ? নাকি নেহাতই মেয়েছেলে ?
তুমি কুমারী তবু
অনাঘ্রাতা নও
শোধ করো নারী জন্মের পাপ
রোজ অতীত হয় তোমার বেঁচে থাকা ।
নিষিদ্ব পল্লীর মরচে পড়া জানালায়
মুক্তি চাও মুক্তি খুজো প্রতিনিয়ত.....
চোখে পড়ে শুধু অশ্লীল কাম , আবিষ্কার করো
মরচে পড়া সেই জানালায় তোমারই প্রতিবিম্ব ।
কত রাত জাগা যুদ্ধের প্রহার ছেয়ে আছে শরীলে তোমার
কত সফল যুদ্ধের স্মৃতি ঘুমোট ঘরে আছে ছড়িয়ে
কলি হয়ে জমা হয়েছে কত শত বেদনা তোমার নারী গর্ভে
কোন কলিকেই তুমি দাওনি ফুল হয়ে পরিস্ফুটিত হতে
কত নিশ্বপাপ কলিকেই ঝড়িয়ে এসেছো নির্বিবাদে
কোন এক নাসিং হোম এর ক্লিনিকে ।
দু ঊরুর মাঝে কতবার বেয়নেট চালাতে দিয়েছো তুমি?
মূল্য হিসাবে পেয়েছো একটি কন্যা সন্তান , যে কিনা
হবে ‘আগামীর তুমি’ তবে
কুমারী জীবনের যন্ত্রণা ওকে দিও না
উপহার দিও তোমার ‍আগামীকে
তার সম্পূর্ণ নিজের একটা পুরুষ
যাকে মর্জি মাফিক ছিন্ন ভিন্ন করতে পারবে ।
বাকি টা এই সমাজেরই কত্যর্ব যা নাকি ভবিতব্য .........