প্রশ্ন করিনি
           মোঃ রনিকুজ্জামান


      বহু বাসনা ছিল মোর মনে
    জগতো সংসারে রহিব এক সনে
       ধনীর ধনে হতে গিয়ে সুখী
   ভেবে দেখনি তাতে কেউ হবে দুঃখী
       সুখ নামের সোনার হরিণ
         পেয়েছো কি তুমি
       জানতে ইচ্ছে করে তব
              প্রশ্ন করিনি।
     আজো রাতের নিঝুমে নয়নের জলে
           শান্ত হয় ব্যাথা
      একে একে স্বরনের উদে
         সেই বাল্য কালের কথা ।
     সেই মনে পরে গ্রীষ্মের দুপুরে
          ত্যাগ করে রদ্রুরে
            বাহিরে ছুটাছুটি
     আমের বাগানে সকলে মিলে
           খেলছি লুকোচুরি ।
      খেলার ছলে পিছু হতে
           ধরিলে মোর হাত
      ভাবিনি কভু করিবে তুমি
           আমার সর্বনাশ ।
   সেই মনে পরে জৈষ্ঠের বিকালে
          সব আলো নিভে গিয়ে
       উঠিত কাল বৈশাখের ঝড়
     ঝড়ের হাওয়ায় থাকিত চাওয়া
       তারে যেন দেখি একটি বার ।
       খানিক বাদে লন্ঠণ হাতে
            বাহির হইলে তুমি
   আম কুরানোর ছলে তোমারই কাছে
           ছুটিয়া গেলাম আমি ।
       খানিক বাদে  ঝড়ো হাওয়ায়
             লন্ঠণ নিভিয়ে গেলে
       জরিয়ে ধরে বলিলে মোরে
                   এখন কি হবে
     লন্ঠণ যে মোর নিভিয়া গেলো
           ফিরবো বাড়ি কিসে ?
      কহিলাম তবে ভয় কি তোমার
           ধরো মোর হাত,
    পাশে থাকো যদি দিবো আমি
              অথই সাগর পার ।
    মরু সাগরে দারিয়ে ছিলাম
              শূন্য তরি নিয়ে
        আসিলে তুমি ভরিবে তরী
                  এ আশা নিয়ে,
         ভাবিনি কভু তরীর তলে
              ছিলোনা যে জল
        মরুভূমিতে তরী যে আমার
             আসলেই অচল ।
       আজো মোর মনে পড়ে
           বর্ষার দিন গুলি
     বৃষ্টিতে ভিজে মায়ের কাছে
         খেয়েছি কত গালি ।
     এক বর্ষার দুপুরে
         বৃষ্টিতে ভিজছিলে তুমি
    কাছে এসে  বলিলে মোরে
         তোমাই ছাড়া শূন্য যে আমি ।
      শ্রাবনের অবিরাম বৃষ্টি
            ঝরিলো তিন দিন
        ব্যাকুর  মোর হৃদয়
     তারে যে দেখেনি কত দিন ।
      তিন দিন পড়ে দ্বিতীয় প্রহরে
              ছাড়িলো যে বৃষ্টি
       দেখিবো তারে ব্যাথিত হৃদয়ে
          ফিরে ফিরে চায় দৃষ্টি ।
        শরৎ এর  বিকালে দুজনে মিলে
             বসেছি নদীর কিনারে
            দুই ধারে কাশফুল যেন
                দুলছিলো সারে সারে,
             ফুল ছিরতে গিয়ে তুমি
               গাইছিলে গুন গুন
           তোমায় পেয়ে বাংলার রুপ
               বেরোছিলো শত গুন ।
            দুরের আকাশে উড়ে উড়ে যায়
                   সাদা মেঘের ভেলা
              তোমায় পেয়ে প্রকৃতে যেন
               বসেছিলো রুপের মেলা ।
            বিকাল গরিয়ে সন্ধা হলে
                 দুজনে ফিরিতাম ঘরে
              আজো ফিরি সেথা হতে
                 শুধু  নেই তুমি  ধারে ।
              হেমন্তের সোনালী ক্ষেতে
                 হেঁটেছি হাতে রেখে হাত
               আজ যে তবে নেই আর
                  সেই পূর্নিমা রাত
        নবান্নের উৎসবে মেতে যেত পাড়া
        তোমাতে আমাতে তাতে ছিলোনা যে সাড়া ।
               শীতের ভোরে ঘুম ভেঙ্গে যায়
                  ছুটি বাহির পানে
            ঘুম ভাঙ্গার পরেই দেখিবো তারে
                 এই আশা মোর মনে
              বাহির পানে ছুটিয়া দেখি
                 কুয়াশায় সব ঢাকা
             মিথ্যে কি হবে তবে
                আমার সকল আশা ।
         পূর্ব গগন লাল করি উঠিল সোনার রবি
               আনন্দের মোর অন্ত নাহি
                    দেখিব উজার করি,
           পথো চেয়ে তার বেলা বয়ে যায়
                        তবু নাহি আসে
             শীতের কাঁপনে সিক্ত হৃদয়
                       অশ্রু ধারায় ভাসে।
             বহু বাদে হায় দূর হতে দেখা যায়
                  ভালোবাসার মনিক বিন্দু
              পূন্যতা পাইলো যেন
                  মোর হৃদয়ের সিন্ধু ।
            পহেলা ফাল্গুন বসন্তের আগমন
               প্রকৃতি সেজেছে থরে থরে
                   সব কিছুই বৃথা যেন
               তোমার রূপের তরে ।
            আজো প্রীদীম জেলে বসে থাকি
                     এই ভরা সাঁঝে
           পেয়েছি তোমায় হুদয় দিয়ে
                        পাইনি দেহের মাঝে ।