সে দিন দখিনা মেঘে
লেগেছিলো ডর;
এবার আসবে বুঝি
দিশেহারা ঝড়।


ভাঙবে আমার এই
ছোট কুড়ে-ঘর,
অঝরে নামবে বুঝি
বারি ঝরোঝর।


গুড়-গুড়ে মেঘমালা
ভূল ভেঙে দিয়ে;
নেমে এলো অবিরাম
বাদলের মেয়ে।


অগোচরে দ্বার খুলি
অচেনা যুবতী,
দেহে তার থরোথরো
ভয়ের মুরতি।


বাদলের জলে তারে
করি অসহায়;
বসণ-ভূষণ সব
লেগেছিলো গায়।


বন্যরা জেগে ওঠে
দেখি তার কায়া,
বদনে লেপটে আছে
অগোছলো মায়া।


তবু তারে সমাদরে
ভাবি মেহমান;
তাহার সতিত্ত্ব আজি
যুবকের দান।


দিন গেল, রাত যায়
আকাশ ভারি,
ক্লান্ত আখির কোনে
অপরূপা নারী।


শান্ত হয়েছে সব
রাতজাগা পাখি
ক্লান্ত গতরে সব
নিদোময় আখি।


প্রদীপ ঘুমিয়ে আসে
শুষ্ক শলিতা,
সরস রয়েছে শুধু
অচেনা ললিতা।


অচেনা যুবতী আজি
যুবকের ঘরে!
ভিতী,ভিতী দু'নয়নে
নিদ নাহি ঝরে।


তবুও অবাধ্য তার
নয়ন দু'খানি,
কাটালো নিবির ঘুমে
ভয়াল রজনী।


প্রাতে হাসিয়া তুমি
বিদায় বেলায়;
কহিলে যুবক তুমি
ভূলনা আমায়।


সেদিন থেকেই তুমি
আমার এ প্রাণ,
ভূলনা কখনো মোরে
বাদলের দান।