একদিন এক রাজার দেশে বহু বছর আগে,
গল্পটা এক ছোট্ট প্রেমের শুনতে  ভালো লাগে।


অশোক রাজার দেশে তখন সুখেই ছিলে সব।
কোথ্থেকে এক মস্ত দানব হলো আবির্ভাব।
দিনে দিনে নরখাদক অনেক মানুষ খেলো
এমনি করে অশোক রাজার রাজ্য শূণ্য হলো।
রাজাধিরাজ জ্ঞানী গুণীর করতো সমাদর
একদিন তাই মিটিং হলো সন্ধ্যা থেকে ভোর।
অবেশেষে বলেন রাজা, ভূল হবেনা জানি
সারা রাজ্যে জানিয়ে দিন আমার ইচ্ছে খানি
যে পালোয়ান বদ অসুরের করবে প্রাণ নাশ;
তাকে দিবো কন্যা আমার বাদশাহী নিবাস।


ক’দিন বাদেই দরবারেতে বললো এসে কেহ,
কোথ্থেকে এক যুবক এলো লম্বা তাহার দেহ।
রাজা বলেন,“ অাসতে বলো আর বিলম্ব কেন”
আমার হাতে অল্প সময় জলদি ডেকে আনো।
পুনঃ বলেন, ঠিক আছে সব;সমস্যা নেই তাতে।
যুককটা এক চরম খুনি বিশাল মুন্ডু হাতে।
রাজা বলেন সমস্যা নেই, বললো খানিক হেসে
দেখি, কাহার মুন্ডু নিয়ে ঘুরছে বীরের বেশে!


রাজা অবাক, সবাই অবাক, অবাক সভাসদ !
ধন্য যুবক, জানাই তোমায় হাজার ধন্যবাদ।
তুমি আমার প্রাণের গর্ব অসুর বিনাশকারী।
বলেই রাজা দাড়িঁয়ে গেলো সোনার তখ্ত ছাড়ি।
তোমার মত শ্রেষ্ট পুরুষ আর কেহ নেই ভূয়ে
তোমায় আমার রাজ্য দিব,আর কন্যার বিয়ে।


যুবক বলেন,“রাজাধিরাজ, ভূল যদি হয় তবে;
আগেই আমি চাইগো ক্ষমা, মাফ করিবেন সবে”।
চাইনা আমি রাজার কন্যা চাইনা সিংহাসন,
চাইনা আমি সোনার মুকুট চাইনা রাজশাসন।
চাইনা আমি লোক-লস্কর,চাইনা ধনরাশি।
চাইনা আমি সিপাহী সেনা, হুকুমের দাস-দাসী।


আমার আছে সারাটা দুনিয়া,হৃদয়ের সাথে মিশে
আমার আছে মনের মানুষ,আমার অভাব কিসে?
সবাই বলেন, বেকুব যুবক; মানিক পায়ে ঠেলি
কোনসে চাষীর মেয়ের প্রেমে জীবন দিলো বলি।
যুবক বলেন, আমার মানিক যাকে ভালোবাসি
আমার রাজ্যে প্রেমই রাজা, ঐ সিংহাসন দাসী।