আবার যদি ডাকো আমায় আসিব আমি ফিরে
সুখ দুঃখেরি ঢেউ খেলা এই গানের দেশে প্রাণের দেশে,
বসবো আমি নদীর তীরে ছড়িয়ে এলো চুলে
নদীর বুকে ভাসবে তরী গুনটেনে পাল তুলে।
এলো কেশে কূলবধু জল নিতে যায় ঘাটে-
ডুবে যাব এসব দেখে শ্যামল শোভায় সাঁঝে,
শরৎ রানীর সবুজ বনে দুলবে ফুলে ফলে
প্রজাপতি পাখা মেলে উড়বে গগন তলে।
পানকৌড়ি আর সাদা বক উড়বে নদীর জলে
দুচোখ ভরে আপন মনে দেখব বসে বসে।
আমার দেশের সবুজ ঘাসে ঝিলমিলিয়ে শিশির হাসে
সরিষা ফুলের হলুদ মাঠে কিশোরিরা যায় ছুটে
মৌ ছড়ানো গন্ধ মাখে মন ভুলানো আপন সখে,
পাগল বেশে রাখাল ছেলে বাজায় বীণে নদীর ধারে
কুমারী মেয়ে নদীর পাড়ে ওড়নাখানী যায় উড়িয়ে।
আমার দেশের বকুল শাখে ফুটে কত শত ফুল
আচঁল পাতিয়া কুরায় কুমারী ছড়ায়ে দীঘল চুল।
আচঁল ভরিয়া আনিয়া সে ফুল ঢালিয়া মাধুরী কতো
সুর লহরী কণ্ঠে ছড়ায়ে গায় যে গান শত।
প্রিয় জনের গলায় পরাতে নিশি জাগিয়া গাঁথে-
দিতে না পারিলে সে মালা তারে বুকে বেদন জাগে।
শস্য শ্যামল ফসলে ভরা আমাদের এই বাংলা মা
তোমার রূপের নাইকো ঝুড়ি হয়না কোন তুলনা।


বরিশাল-০৩-০৩-১০