মূর্খের দেশে কবিতা লিখে কি লাভ
মানবতার জয়গান করে কি লাভ
যে মানবতা তাদের কাছে খেলনা
নীরিহ মানুষ তাদের কাছে ফেলনা
প্রতিভার মানুষগুলো বরাবরি তুচ্ছ
মূর্খেরা পায় গোলাপের পাপড়ি গুচ্ছ
নীতির বাক্য শুনিয়ে,সদা করে চুরি
তাদের কাছে নাটাই সুতা,আমরা ঘুড়ি
মূর্খের দেশে আমি কখনো হবনা কবি
মিথ্যের আঁধার ঘুচে,ফুটবে না কি রবি?
মূর্খের দেশে মূর্তি কে বলা হয় ভাস্কর্য
ধার্মিক কে বলে উগ্রবাদী,আমি আশ্চর্য
জানি সত্য বললে আজকাল
যেতে হয় জেলে,
তারপরও আমি হতে চাই বাংলায়
কাঁদনবিষের ছেলে!
অনেক আগেই বলেছিলো,বিশ্বের কবি
মূর্খের দেশে,কখনো হবো না আমি রবি
তাই দাদার ভিটা ছেড়ে দিয়ে তিনি
গিয়েছিলেন ভারতে,
অন্যদিকে ন্যায় সত্যের বিদ্রোহী কবি
নজরুল ছিল গারদে!
তবু ও মূর্খেরা বুঝেনি,
আসল সোনার কদর
রবি হয়েছে বিশ্বকবি,
নজরুল জাতীয় আদর।
এই মূর্খের দেশে কবিতা লিখে কি লাভ আছে
যেখানে মিথ্যের রসাতলে ডুবে গেছে সবি
মূর্খের দেশে আমি কখনো হবনা কবি!
তেল আর জল যদি মিশে এক হয়ে যেতো  
তাদের ব্যবধানটা"কি,জাতি বুঝতে পেতো?
মূর্খের দেশে,
আজ যারা আছে জ্ঞানী আর গুণী
তাদের কে নিয়ে টকশো করতে,
আমরা কাউকে কি শুনি?
যদি মাঝে মাঝে কিছু জ্ঞানী,
টকশো করতে গেলো
নাস্তিকদের চাপের মুখে,
তারা কি সম্মান পেলো?
এই মূর্খের দেশে আজ,আমিও মূর্খ কবি  
লিখে গেলাম আহ্বান,ন্যায় ও সত্যের ছবি।