* একদিন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন        
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি,
আর কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন
গাহি সাম্যের গান,মানুষের চেয়ে কিছু নাই,
         নহে কিছু মহিয়ান।
তারা যদি জানতেন, বাংলার ভবিষ্যত হবে
   ভয়াবহ কর্মকাণ্ডে লোমহর্ষক, দৃশ্যপট
তবে রবীন্দ্রনাথ, ক্ষোভের আগুনে লিখতেন আমার সোনার বাংলা,তুমি আজ লজ্জার।
আর নজরুল দীক্ষার জানিয়ে লিখতেন
গাহি সাম্যের গান,মানুষ আজ মানুষ নেই,
      বিদ্রোহী কণ্ঠে বলিয়ান।
আচ্ছা, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সমাজে কি
    ধর্ষন নামক এই নির্মমতার স্থান ছিল ?
   সাত বছরের শিশুকে, ধর্ষন করে কি            
        খুন করা হয়েছিল ?
ফেলানির মত কাউকে মেরে কি
সীমান্তে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল?
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের সমাজে, হয়তো
জুলুম ছিল, মহামারি ছিল, দাসত্ব ছিল,
কিন্তু ভুলক্রমে ও ধর্ষনের কোন স্থান ছিল না।
আর যদি বা ধর্ষনের প্রভাব থেকেই থাকতো
তাহলে অন্তত একটি ধষর্নের কবিতা থাকতো
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের লেখা হয়ে হতিহাসের পাতায়।
আজ, মানুষের বিবেক মরে গেছে
আজ নজরুলের বিদ্রোহ ঝরে গেছে
আজ বীর বাঙালির, স্বাধীনতার সংগ্রাম
হারিয়ে গেছে
আজ শেখ মুজিবের স্বপ্নের বাংলা,ডুবে গেছে
আজ আমার প্রাণের বাংলা,ধর্ষক,খুনীদের অধীনে চলে গেছে
আজ রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা
তুমি চির লজ্জার।