১৯৭৫ সাল ১৫ই আগষ্টের সেই কালো রাত্রি
রাত্রি প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গভীর ঘুমে
যখন আচ্ছন্ন, বঙ্গবন্ধুর স্ব-পরিবার
ঘড়ির কাটায় ৫.৩০ মিনিট বাজতে যাচ্ছে
ঠিক তখনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দল
যাবতীয় অস্ত্র গোলা বারুদ ও কামান নিয়ে
আচমকায়, ভয়ানক হত্যাযজ্ঞ চালালো
বঙ্গবন্ধুর সহপরিবারের উপর,
তাদের এই হত্যাযজ্ঞ চললো
সকাল ৭.০০ টা পর্যন্ত
মেশিনগান ও গুলির আওয়াজে সেদিন
কেঁপে ওঠেছিলো ধানমন্ডির পুরো এলাকা
হত্যার পর শেখ মুজিবের  রক্ত মাখা নিথর দেহ
পড়ে রইলো সিঁড়ি উপর
যে দেশ স্বাধীন করতে,তিনি নির্যাতিত হয়েছেন
বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন,বারাবর
সেই দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪ বছরের মধ্যেই
নেতাকে দিতে হয়েছিলো চরম প্রতিদান।
সেদিন দেশের বাহিরে থাকায় ভাগ্যগুণে
বেঁচে থাকলো বঙ্গবন্ধুর আদরের দুই কন্যা  
শেখ হাসিনা,ও শেখ রেহেনা ছাড়া
একে একে হত্যা করা হলো সবাইকে বাদ যায়নি
দশ বছরে ফুটফুটে শিশু শেখ রাসেল ও
তারা নির্মম ভাবে হত্যা করলো তাকে ও
হায়নার দল,বিশ্বাস ঘাতকতা করলো
স্বাধীনতার এক সংগ্রামী মহা নায়কের সাথে।
এ কেমন প্রতিশোধ নেওয়া হলো
রেসকোর্সের ময়দান কাঁপানো,ত্যাগী নেতার সাথে
পৃথিবী থাকবে যতদিন,
ইতিহাসের পাতায়,স্বর্ণ অক্ষর হয়ে
শেখ মুজিবের বীরত্বের নাম,লেখা থাকবে ততদিন।