রাস্তার কালো কুকুরটা কালরাতে বেশ কয়েকবার ডাকে।
একটু যেন জোরের সাথেই সে ডাকে।
আমার স্বপ্নময় সুন্দর ঘুমটা ভেঙে যায়।
ঘুমভাঙা রক্তিম চোখে তাকে বেশ করে বকে দিয়ে
কোনো এক মেয়েলি কন্ঠের চিৎকারকে স্বপ্ন ভেবে
আমি রাতের অন্ধকারে আবার ঘুমিয়ে পড়ি।


সকালবেলা বাড়ির পাশে কিসের যেন জটলা দেখা যায়।
টেরিকাটা চুলে পারিপাট্য পোশাকে সজ্জিত সভ্য মানুষের জটলা।
বেশ একটা বাবু-বাবু ভিড়ে চরম ঔৎসুক্য, গভীর মেকি দুঃখ-
কারো গলায় হতাশা, কারো গলায় অবাক করা সহানুভূতি
থমকে থমকে তীক্ষ্ণ শরের মতো কানে এসে বিধে।


সকালের মৃদু আলোর গন্ধে গা সেঁকে আমিও সেই বাবুদের
দলে ভিড়ে যাই। কালরাতের সেই মেয়েলি চিৎকার মনে আসে,
সমস্ত শরীর মন অবশ হয়ে আসে বৃষ্টিহীন শ্রাবণের আকাশের মতো।
কয়েকটা ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো, কয়েক ফোঁটা রক্ত, কয়েকটা গুলির
খোল, নগ্ন মেয়ের লাশ আর পাশে সেই কালো কুকুর।