সাক্ষী হয়েছে প্রতিদিনকার বদলে যাওয়া আকাশের,
সাক্ষী হয়েছে বয়ে যাওয়া কতশত বাতাসের,
গল্প কি তবে বলবো আজ, মেঘনার মেয়ে তিতাসের?
১৫০ মাইল দৈর্ঘ্য নিয়ে,
বিস্তর দেহে আগলে রেখে,
গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গর্ভে ধরে,
সাক্ষী হয়েছে কতশত ভাঙ্গাগড়ার!
মেঘনার শাখানদী তিতাস,
এঁকে বেঁকে চলেছে সুদীর্ঘ পথ,
চলেছে কি কেবল তার স্রোত?
সে চলেছে,
প্রবাহিত হচ্ছে,
কেবলই কি যাচ্ছে চলে নদীজল?
সেই স্রোতে ভাসছে মানব,
ভাসছে অশ্রুজল।
জল-জীবন যেমন স্থিরতা জানে না,
নদী-মানুষ তার পিছু বয়ে যায়,
থেমে যায় না।
প্রতিদিনের ভেঙ্গে যাওয়া,হেরে যাওয়া,
নতুন করে ভাবতে শিখায়।
একটা নদী, কতটা আর গভীর,
তবু তার বিশালতা মানুষকে বাঁচতে শিখায়।
জীবনকে বয়ে যাওয়া শিখায়,
কষ্টের পর ভালোথাকা শিখায়,
সব হারিয়েও আবার নতুন আশায়,
হাসতে শিখায়।
একটা নদী,
মেঘনার কন্যা তিতাস নদী।
কতটা আর গভীর,
তবে জীবনের সাথে গড়েছে সম্পর্ক নিবিড়।
সে সাক্ষী হয়েছে রংবাহারি আকাশের,
সে সাক্ষী হয়েছে দিক বদলানো বাতাসের,
গল্প কি তবে বলবো আরো, মেঘনার মেয়ে তিতাসের?
যে আর্তনাদ শুনেছে,
যে কান্নাজল শুকিয়েছে,
যে বেদনা লুকিয়েছে,
যে জীবন গুনেছে,
যে বেঁচে থাকা শিখিয়েছে!
সে নদী,
তিতাস নদী,
মেঘনার মেয়ে তিতাস নদী।