এক মহাকাব্য রচিত হবে,
শতাব্দীর নষ্ট সময়কে আলিঙ্গন রত অবস্থায়-
কাব্য হেঁটে বেড়াবে আপন গতিতে।
চৈত্র মধ্যাহ্নে ঘুঘুর আর্ত চিৎকারে-
কেঁদে ওঠা দুরুদুরু বুকে,
কিংবা শাণিত তপ্ত বাতাসে,
কবির দুর্বল হৃদয়ে মহাকাব্য রচিত হবে।
প্রেয়সীর ঠোঁটের কোণে নক্ষত্রের হাসি নিয়ে,
সাদর সৌন্দর্য পূর্ণতার ইঙ্গিতে,
নির্মম বাস্তবতায় মহাকাব্য রচিত হবে।
মিথ্যার আবর্তে ঘেরা-
প্রতিনিয়ত এই সংসারে  রক্তের মহড়া দিয়ে,
বন্ধুত্বের আড়ালে-
অচেনা শ্বাপদের কটাক্ষ নিয়ে মহাকাব্য রচিত হবে।
অভুক্তের আর্তনাদ,বুভুক্ষের চাহনি,
ডাস্টবিনে পড়ে থাকা আটমাসের শিশু কিংবা
ধর্ষিত হয়ে শহিদ বেদিতে পড়ে থাকা কিশোরীর-
বুলি নিয়ে মহাকাব্য এবার লেখা হবে।
সমুদ্রের বাতাসের নোনা গন্ধে,
ভিজে বালির ওপর পায়ের চিহ্নে,
নীল অথৈ সাগরের বুকে নিঃসীম হাহাকারে, ঝাউ বনের অন্তরে অশরীরী বাতাসের কান্নায়-
মহাকাব্য রচিত হবে।
হারানো ভালোবাসার খোঁজে,
প্রেয়সীর কলিং বেলের ঠিকানায়,
বিরহের নিঃশব্দে ব্যথাতুর হয়ে,
বিষ কাঁটা হয়ে থাকা হতাশ মনের কোণে-
এবার একটা মহাকাব্য রচিত হবেই।।