না,আমি আজ কিছু বলবো না।
বলে কি লাভ?
শ্রমিকের রক্তে স্নান করতে-
যে রাষ্ট্রের লাগে আত্মতৃপ্তি,
সে কেমনে বুঝবে ভগ্ন হৃদয়ের-
কবির লেখা কবিতার পঙক্তি?


না সে বুঝবে না।
সে যে খালি জানে লাঠি,গুলি,টিয়ারগ্যাস-
চালিয়ে কিভাবে করতে হয় বন্ধ মুখ।
পারবে না সে দিতে কবিতাকে প্রকৃত সুখ।


আমি কিন্তু নেবো না নজরুলের মতো,
ঘুমন্ত বাঙালিকে বিপ্লবী করার স্বত্ব।


তবে এরপরের শতাব্দীতে মেঘ হয়ে আসবো,
সুদূর পাহাড়ের চূড়ায় থাকা মেঘ হবো।
রাষ্ট্র তোমাকে কৈলাস থেকে আনা পবিত্র,
জলে ভিজিয়ে শুদ্ধ করবো।


আর কেউ তখন তোমায় ধিক্কার দেবে না,
তখন আর বাঁশখালি তৈরি হবে না,
আর শ্লোগানে তখন স্বৈরাচারের-
পতনের সুর গাইতে হবে না,
বলতে হবে না
"শ্রমিক মরে ক্ষুধার জ্বালায়,
রাষ্ট্র তখন গুলি চালায়"


সেদিন কি আসবে রাষ্ট্র? আসবে সেদিন?