সচল পৃথিবীকে করেছি অচল
ক্ষমতাধরকে করেছি অক্ষম
যুদ্ধের দামামা থামিয়ে  
বন্ধ করেছি ক্ষমতার দাম্ভিকতা ।


বায়ু দূষণ কমিয়ে
প্রকৃতিকে করছি শান্ত
সবুজের সমারোহে প্রাণবন্ত
পক্ষীকুল পেয়েছে অভয়ারণ্য ।


অযাচিত ভেঁপুর শব্দ বন্ধ  
দ্রুত গতির বিমান, ট্রেন বন্ধ
নৌ পথের সমস্ত যান নোঙ্গরে বাঁধা
বাস ট্রাম গ্যারেজে স্থবির ।


এসব দেখেও কি মনে লাগছে না ধাঁধা ?
কেন এমন হচ্ছে ?
কেন থমকে গেছে বিশ্ব ?
কেন নীরবতায় কর্মব্যস্ত জনপদ ?
কেন ঘরের মাঝে আজি বন্দি ধরা পরে ?
যোগান দিচ্ছে কি জ্ঞানের আলো ?


নিরাকার থেকে সুন্দর আকৃতি নিয়ে  
বিজ্ঞ, তুমি নিঃশ্বাস নিচ্ছ কার ?
আমার ছোঁয়ায় কৃত্তিম অক্সিজেন লাগে অর্থের বিনিময়ে,
সাড়া জীবনের নিঃশ্বাসের দাম দিয়েছ কবে ?
কে দিল তোমায় দৃষ্টি,
মুখের ভাষা, চিন্তা শক্তি ?
কে দিয়েছে ইন্দ্রের অনুভূতি ?
শ্রেষ্ঠত্বের বিবেক কে দিয়েছে ?
কে দিয়েছে মায়ার বাঁধন ?
কে দিয়েছে বিরহে ক্রন্দন ?
লক্ষ লক্ষ শিরা উপশিরায় আবৃত দেহ
সুপার সাইন্স অসীম দয়াময়ের ।


রাজনৈতিক দল চালাতে নেতা লাগে
দেশ চালাতে লাগে প্রশাসন ।
একটু ঢিলা অবস্থায় পরিস্থিতি হয় নাজুক  
পক্ষান্তরে, কি করে চলছে এ ভূলোক ?


গ্রহ নক্ষত্র চলছে অবিরত আপন কক্ষ পথে
একমাত্র মহামহিমের ইশারাতে ।
চাঁদ সূর্য দেয় না আড়ি
আহার্য ফসল উঠে বসত ঘুরি ।
বড় থেকে অতি ছুট প্রাণীর আহার যোগায় যিনি
আমরা অবুঝ হায় ! তাঁকে না চিনি ।


ক্ষণিকের আবাস ভূমে ছেড়ে  
যেতে হবে কোথা ?
ভেবেছ কি তার কথা ?
বিজ্ঞানের প্রয়োগে যান্ত্রিক জীবন
এসব ভাবনার সময় কৈ রঙের দুনিয়াতে ?
শিশু কৈশোর পেরিয়ে যুবক, এরপর  
চিন্তা চেতনায় পরিপূর্ণ মানুষ
বার্ধক্যের মলিন মায়া মাখা চেহারা
তার পর একদিন পৃথিবীর আকর্ষণ ছিন্ন করে বিদায় ।


চলতি পথে ক’জন কে সাহায্য করেছিলে ?
অন্ন দিয়েছিলে ক’জন কে ?
ক’জনের উপর অত্যাচার করেছিলে ?
ধ্বংস করেছিলে কত স্বপ্ন ? আত্ম সুবিধার জন্য ।  


দুর্বলের আর্ত চিৎকার শুনতে পাওনি  
শুনতে পাওনি ক্রন্দনরত ক্ষুধার্থ শিশুর দরাজ কণ্ঠ ।
ধ্বংস করেছ কত জনপদ কর্তৃত্ব ফলাতে  
কোলের ছোট্ট শিশুটি ও বাদ পড়েনি নিষ্ঠুর আঘাতে ।  
মারণাস্র আবিষ্কার করেছ অনাহারির অন্ন কেড়ে,  
অবাধে দূষণ করেছ প্রকৃতির শিকড় চিড়ে ।  


তোমার ভেতর চেতনা ফেরাতে
অন্যের প্রতি উদারতা বাড়াতে
একে অপরের সাথে সখ্যতা গড়তে
মূল্যবোধের প্রদীপ জ্বালাতে  
ধ্বংস নয় নতুন দিনের সূচনা করতে এসেছি
তোমাকে মনুষ্যত্বের উপলব্ধি ফিরিয়ে দিতে ।


আমি অতি সূক্ষ্ণ কণা আমায় এতো ভয়
দু’জাহানের মালিক যিনি তাঁকে দেখে কেন নয় ?  
অন্তরে জমে থাকা মনুষ্যত্ব জাগ্রত করার এখনি সময়,
হিংসা অহংকার ক্ষমতার লড়াই
ছেড়ে দিয়ে বিত্তের বড়াই
ভালবাসা ছড়িয়ে দাও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে,
মনুষ্যত্বের সন্ধানে এবার তুমি মানুষ হও ।  
এবার তুমি মানুষ হও,  
উদার বিবেকবান মানুষ হও ।  


দুপুর ২ টা ১২ মিনিট,
১১ মে ২০২০ ইং, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৭ রমজান, ১৪৪১ হিজরী,  
ভালুম, ধামরাই, কালামপুর, ঢাকা ।