অভাব আছে বলে সব সহ্য করে যাই
বুকফাটা কান্না অন্ধকারে ঝরাই ।
সাধ আছে তো সাধ্য নাই  
প্রতিবাদ করার সাহসও নাই ।


অন্ন বস্ত্র আর বাসস্থানের চিন্তায় দমে যাই
অর্ধেক মাস পার না হতেই, দীর্ঘশ্বাস উঠে যায় ।  
ধার দেনা আর কর্জ করে কদিন চলা যায়
মালিক পক্ষ যদি পারিশ্রমিক না বাড়ায় ।


কেউ তো শোনে না আমাদের কথা  
বিপদে পড়লে কেউ করে না দেখা ।  
বাজারে দেখি, গৃহস্থলী পন্যে জ্বলে আগুন
পকেটের দিকে তাকালে কষ্ট বাড়ে দ্বিগুন ।


অর্থাভাবে বড় কষ্টে কাটে দিন
এই সুযোগেই মালিকগুলো বাজাচ্ছে সুখের বিন ।
এত সস্তা শ্রমিক পেয়েও ওরা করে খাই খাই
শ্রমিকের নিরাপত্তার কথা পদ দলে যায় ।
মরলে ওরা মরবে, তাতে কি বা আসে যায়  
মরলে পাবে বিশ হাজার ভাংলে পাবে পাঁচ
ওদের চেয়ে দামি হচ্ছে অফিস দেয়ালের কাঁচ
মালিক শ্রমিকের এটা হচ্ছে বাস্তব ভালোবাসা
গার্মেন্টস এ তাই সস্তা শ্রমিক ঠাসা ঠাসা ।
ধ্বংসস্তুপের কান্নার আওয়াজ ওরা কি শোনে না ?
ওরা ও কারো মা বাবা ভাই বোন কেন বুঝে না ?  
আপনজন হারানোর মর্ম ব্যথা ।    


অনেক বড় সংগঠন আছে ওদের একে অপরের সেবায়
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতেই সংগঠকদের সময় চলে যায় ।
এটা করব, ওটা করব এই হচ্ছে নিত্য কথন
শ্রমিকের কোন কাজে আসে না এমন সুন্দর বচন ।


মালিকের অন্যায় পেলেও তারা, আস্তে সরে যায়
আরে এটা কিছু না, এমন ভাব দেখায় ।
আর শ্রমিকের কোন অন্যায় পেলেই কাজ
কপালে জুটে গলা ধাক্কা আরো সঙ্গে জুটে লাজ ।


গরীবের কষ্ট গরীব বুঝে, ওরা বুঝে না
তাইত গরীব ওদের সামনে কখনও কাঁদে না ।
বুক চা্পড়িয়ে কান্না করে শিশু ঘুমালে  
সামনের দিন কি করে যাবে চাকরি হারালে ।

লোক লজ্জা ভয়ে তাই সব সহ্য করে যায়
ওদের ভাল মন্দ দেখার, কেউ কি নেই এ ধরায় ?  
উপায়হীন মানুষ নিয়ে করছে ওরা খেলা
আর কত প্রাণ গেলে থামবে ওদের অনাবৃত ভেলা ?