দূর গগন পানে চেয়ে দেখ পাবে আমাকে
নীল আকাশে রংধনুর মাঝে,
দিগন্তের দিকে দেখ পাবে আমাকে
অস্তগামী সূর্যের গোধূলী আলোক মাঝে ।


সমুদ্রের দিকে দেখ পাবে আমাকে
কখন ও শান্ত কখন ও বা উত্তাল ঢেউয়ের মাঝে,
বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে দেখ পাবে আমাকে,
কখন ও সরিষা ফুল কখন ও বা ধানের শীষে
কখন ও রবি শস্যের মাঝে, কখন ও বা শীর্ণ দেহের ক্লান্ত কৃষকের মাঝে ।


বাগানের দিকে দেখ পাবে আমাকে
কখন ও কদম গাদা শিউলী শেফালী ফুলে,
কখন ও খুঁজে পাবে লাল গোলাপের পাপড়ির কোমল স্পর্ষে
কখন ও বা রজনীগন্ধা, বেলী ফুলের মাঝে ।


রাস্তার দিকে দেখ পাবে আমাকে
কোন এক অচিন আগন্তুকের মাঝে,
জ্যোস্নার দিকে দেখ পাবে আমাকে  
চাঁদ কিংবা তারার মাঝে ।


মেঘের মাঝে দেখ পাবে আমাকে
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টির মাঝে,
নগরের দিকে দেখ পাবে আমাকে
কোন এক পরিচিত গলির মাঝে ।


বাংলার জমিনে দেখ পাবে আমাকে
সতেজ সজীব ঘাসের মাঝে,  
মাঝির নৌকায় দেখ পাবে আমাকে
শক্ত হাতে বলিষ্ঠ দাঁড়িয়ালের মাঝে ।


মাছরাংগা পাখির দিকে দেখ পাবে আমাকে
ওদের সুন্দর রঙ্গিন ঠোঁটের মাঝে ।
পানকৌড়ির দলে দেখ পাবে আমাকে
শীতের সকালে উন্মুক্ত বাংলার আকাশে ।


দিন মুজুরের দিকে দেখ পাবে আমাকে
বয়সের তারনায় মুখে জাগা বলিরেখার মাঝে,  
জেলের দিকে দেখ পাবে আমাকে
নদির মাঝে ছড়ানো জালের মাঝে ।


দূরন্ত ছেলেদের মাঝে দেখ পাবে আমাকে
ওদের কৌতুহল ভরা চাহনির মাঝে,
ক্রন্দনরত কষ্টের মাঝে
আবদার করা কথার মাঝে
মুচকি হাসা ভালবাসার মাঝে
স্নিগ্ধ কোমল ত্বকের মাঝে ।


কবিতার মাঝে দেখ পাবে আমাকে
ছন্দায়িত  পঙ্ক্তি ও বচনের মাঝে ।
সুন্দর নিবির শান্ত পরিবেশে চিন্তা কর আবেগ দিয়ে
আমাকে পাবে তোমার সমস্ত অস্তিত্ত্বের মাঝে ।


মনের চোখ দিয়ে দেখ পাবে আমাকে
সমস্ত সুন্দরের মাঝে ।
অনিয়মের সম্মুখে বিদ্রোহী কন্ঠের বক্তার মাঝে
সমাজ পরিবর্তনের অগ্রযাত্রার চালকের মাঝে
তুমি পাবে আমাকে ।