ফুলের মধুতে ভরা মানুষের জীবন
পাঁপড়ি দলে অঙ্গখানি তার শোভিত,
জোছনাও দুধে ফুটে ওঠে মাধুর্যের মিলন
অনন্ত নিসর্গের প্রেমসিক্ত আঁচলে তা উন্মুক্ত বিকশিত!


পৃথিবী আজ অবাসযোগ্য, বিগলিত সভ্যতা
কেন আজ সকালে অকাল, কে করলো দস্যুবৃত্তি?
ফুলের বনে সংগোপনে বাঘ ও কুমীরের সখ্যতা-
কে গড়লো বালুর বাঁধে সুরম্য ভবনের ভিত্তি??


মানুষ তো জীবশ্রেষ্ঠ-তার কর্মকান্ডে সে প্রমাণ কই?
পশুকেও সে ডিঙ্গিয়েছে অবর্ণনীয় পাশবিকতায়,
যদিও নদী আর বায়ূ ভারসাম্যে বহমান আগের মতই
তবু কেন সে দেখেনা ধ্বংশের বিশ্বযুদ্ধ চোখের নীলিমায়??


বহুমুখী দুর্যোগ বাসা বেঁধেছে আজ সুখের উঠোনে
মৃত্যুর মিছিল সুদীর্ঘ করছে দুর্নিবার মহামারী,
নিসর্গের শান্তির বাণী কান্নার্ত দেখি পাশবিক গৃহকোণে
এখন জীবন মধুতে তাই সবার অবগাহন জরুরী দরকারী!


জীবনের মত প্রকৃতির ও ভারসাম্য প্রয়োজন
স্বাভাবিক গতিতে চলে পরিবেশ-বোঝেনা বিবেকবান,
মানুষের পশুবৃত্তি ঘটিয়েছে সকল অকাম্য দৃর্বৃত্তায়ন
কবি-প্রেরীত সাম্যের বাণীও তাই শোকে মূহ্যমান!


সুন্দর পৃথিবীকে অসুন্দর করেছে মানুষ মনুষত্বহীন
শ্রেষ্ঠ জীবের নিকৃষ্ট কাজে অতীষ্ঠ প্রাণীকুল
তার হিংস্রতাই ডেকে এনেচে দুর্যোগ মহামারী-দুর্দিন
মরুর বুকে তাই কাঁদছে ধুঁকে মানবিক গুণের ঝরাফুল!


বিবেকের কান্নায় বাতাসে মেশে জাগ্রত ঐশী বাণী
শ্রেষ্ঠ মানুষ কেন পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট আজ?
মহাত্মাদের আত্মদান কেন জীর্ণ পাতায় ঝরে অসম্মানী-
প্রকৃতির নিষ্ঠুর জিঘাংসা কবে বুঝবে মানব-সমাজ??


হিংস্রের সুতীক্ষ্ম ডেরায় কখনোই হাসেনা শান্তির কপোতি
প্রেমহীন ভস্মে ঝরেও না কখনো পরমপ্রভূর শুভাশীষ,
তাই জীবশ্রেষ্ঠ পশুত্ব মুছে বিশ্বশান্তি গড়ুক মানবিক গতি-
এটাই নেপথ্যের অকথ্য আকুতি, অগন্য নগন্য নালিশ!