চোখে জল নিয়ে লিখে যায় নির্ঘুম
হাসি ভরা মুখে কবি,
জল ভরা চোখে তার বিষপান চলে
হাসি মুখে পায় সে নীলকন্ঠী পদবী!


যে যার কাজে ব্যস্ত মৌমাছির মত
কবি ব্যস্ত নূতন সত্বার প্রসবে,
তার সন্তান গুলো অবিনাশী অনূপম
কথা বলে কল্পনা ঘটমান বাস্তবে!


দিন যায় রাত আসে পৃথিবীটি চোখে ভাসে
কবি লেখে বুকের রক্তে জীবনের মধু,
নবান্নের মৌসুমে সবার শান্তির ঘুমে
নিজে নির্ঘুম সেবিকা প্রসূতি-বধু!


সত্য নিত্য অনিত্য বাস করে সুন্দরের গর্ভে
দুঃসহ যন্ত্রনায় তা প্রসব করে কবি,
তারই সন্তানে সমৃদ্ধ গর্বিত ও পরিচিত হয়েও
তাকে খুব কমই চিনে নেয় অবাক পৃথিবী!


সৃষ্টির গর্বে ধন্য পৃথিবীকে তা দেবার জন্য
তবু কবি যুগে যুগে আসে,
সুরের বীণা চেতনা হীনা আনন্দ যোগায়
খোঁপার ফুলের যতনে কে তাকে ভালবাসে?