জন্মেছিলাম মানব শিশু হয়ে
বেড়ে উঠেই হলাম পশু,
প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে ভাবছেন তাইঃ
বুদ্ধ রসুল কৃষ্ণ যীশু!


মাতৃস্তন মুখে শিখেছি স্নেহ-ভালবাসা
বেড়ে উঠেই ভুলে গেছি তার সব,
ফুল পাখী শিশু-আর ভাল লাগে না
হিংস্রকেই তাই বানিয়েছি বান্ধব!


পিতা শিখিয়েছেন কিশোর বেলায়:
যে যত নত, সে তত উন্নত,
বয়স বাড়াতে আমি ভুলে গেছি বিনয় কি মানবতা-
কষ্টের কাহিনী শুনিনা দুঃখীর-তেড়ে যাই উদ্ধত!


হারানো দিনের প্রাণের সাথীরা-
কে কোথায় আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে-জানিনা,
কিন্তু চোখের সামনেই কত মা-বোন হারায় সম্ভ্রম-
লুন্ঠিত ঐ মনুষত্বকে দেখেও তবু আমি দেখি না!


আমাকে দেখে বন্যেরা হাসে মুক্তাঙ্গনে
পাশবিক কুকর্ম যত সব করে যাই দুর্বার,
দুধ বেচে আমি এখন মদ কিনে খাই
হীরা ফেলে কাঁচের টুকরোয় দেখাই অহংকার!


ঘরে কাঁদে বৃদ্ধ ও অসহায় মা-বাবা
নিজে ভাল খাই-পরি, তাদের দেখিনা ফিরে,
সমাজের রক্ত-কান্না আমি নির্দ্বিধায় ঝরিয়ে যাই
আর নিষ্ঠুর আনন্দে প্রাসাদ গড়ি নর-কঙ্কাল ঘিরে!


মুক্ত-বিহঙ্গ মরে ঝরা ফুলে আমার একটি দৃষ্টিতেই-
সভ্যরা আমাকে বলেন “মানব-পশু”, যার মনুষত্ব নেই!