স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে পতিতা বৃত্তি
বেছে নেয় অতীষ্ঠ, লাঞ্ছিত নারী,
নারীত্ব বিকোয় সে জীবিকার দায়ে সত্যি
কিন্তু, কে কবে শোনে বা বোঝে তার ঐ আহাজারী?


নন্দিত দেহ খানা কখনো তার
উপরে ওঠার একমাত্র সিঁড়ি
কখনো বা একমাত্র অবলম্বন টিকে থাকার,
এমনি নির্বাসিত জীবনে চিরকাল জ্বলে তার বঞ্চনার অগ্নিগিরি!


ফিরে আসুন চলমান সভ্য সমাজে-
বাবু কিংবা সাহেবের সভ্যতা গর্বী অফিসে,
সেখানে তার বাহারী কথায় কিংবা উদ্দেশ্য প্রাণোদিত কাজে
মনুষত্ব বিক্রির কথা লেখা থাকে উলঙ্গ নোটিশে!


মানবতা বিকোয় সে মুক্তাঙ্গনে
লোক মুখে পদবী পায় সে “ঘুষখোর”
পতিতার চাইতেও নিকৃষ্ট সে সাধারণ জ্ঞানে
কারণ, সে সভ্যতার আলোতে আনে অমানিশা ঘোর!


পতিতার নিবাসঃ সমাজ বঞ্চিত অন্ধকার বস্তিতে
ঘুষখোর থাকে সভ্য সমাজে সভ্য পোষাকে-
এ দু’জন একই কিন্তু ঘৃণ্য নগ্নতার দৃষ্টিতে,
এখন ভাবুন পাঠক-পাঠিকাঃ কি বলবেন এ সভ্যতাকে?