রবিঠাকুরের দীপ নিভিয়েছে বারে বারে
বেদনানীল অনাবিল অন্ধকার
মহাদ্রোহী নজরুলের সর্বাঙ্গ অপাঙ্গে দংশেছে
দারিদ্র-রূপী নাগিনীর বিষদাঁত,
কবি কিশোর সুকান্তের জীবন গিলেছে যক্ষ্মা দুর্বৃত্ত-
মানুষের হেলা নয়ও ছেলে খেলা-ভেবে মরে অশান্ত চিত্ত!


যুগে যুগে এসেছে কত মহিয়ান-মহিয়সী
যারা ঐশী শক্তির পতাকা বাহক
সমকাল বিশ্ব তাদের কমই টেনেছে বক্ষে
দ্বারে দ্বারে ফিরেছে তবু বিদীর্ণ বান্ধব,
জীবন-মালঞ্চের সমস্ত সুগন্ধের মহাদানে-
ফিরে গেছে তারা নিঃস্ব, রিক্ত-মানুষেরই কল্যাণে!


অসংখ্য দুয়ারে বিচারপ্রার্থী ধর্ষিত সেবাদাসী
কপোত-ডানায় মুহুর্মুহু কাঁদে বিদ্রোহী মানবতা
সত্য-সুন্দর রক্তাক্ত কান্নার্ত আন্দামান নির্বাসনে
অগ্নিস্রোতে ভেসে যায় হায় দলিত বিবেক-গন্ধা,
আজো জোছনার জলে উন্মুখ ফলে রাশি রাশি সোনা ধান-
কোন কিষাণি তা নবান্নে সাজাবে-কা’কে দেখবো আগুয়ান?


এ শতাব্দির যুগন্ধর প্রলয়-বহ্নিতে দগ্ধ
তবু অশ্রুর মুক্তা হাসে যাদের চোখের ঝিনুকে
কাঁচ ফেলে কে হীরে নেবে ঘরে তুলে আজ-
জনে জনে যাচে তারা তা কুমারীর সম্ভাষনে,
সন্ধের মাঝি ঐতো ঘাটে নির্জন নির্জীব বসে আছে-
‘পঙ্কিল-ক্লিষ্ট কেউ না ফিরুক ঘরে’- বার্তা তার কাছে!