আমি দেখেনি মুক্তিযোদ্ধ আমার স্ব স্ব চোখে,
পড়েছি যখন ইতিহাস কেঁদেছি তখন দুখে।
পাক সেনারা বেঁধেছিল এক মস্ত বড় গ্যাং,
সাজিয়ে ছিল রাইফেল মেশিনগান আর দানবীয় ট্যাঙ্গ।
ভয়ংকর চিৎকার করতে করতে মোদের দেশে,
জলপাই রঙের ট্যাঙ্গ নেমেছিল দানবীয় বেশে।
মেশিনগান রাইফেল নিয়ে ওরা অতি উল্লাসে,
কত বস্তি ছাত্রাবাস উড়িয়ে ছিল হেঁসে হেঁসে।
বুলেটের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছে কত শহীদের বুক,
অসহায় হয়ে কত মা কেঁদেছে আচঁলে ডেকে তার মুখ।
হরিদাসির মত হাজারো মাতার মুছেছে কপালের সিঁদুর,
পবিত্র শরীরে লেগেছে অপবিত্রের গ্লানি হাজারো নব বধূর।
সকিনা বিবিরর মত হাজারো মায়ের ভেঙেছে কপাল,
যুদ্ধ শেষে আসবো ফিরে বলা যুবকের হয়েছে মৃত্যু অকাল।
কত অনাহারী শিশুর আর্তনাদ ছিল তার মায়ের তরে,
সইতে আর পারছিনা মা দুমুঠো অন্ন দাও এই উদরে।
গ্রাম ছাড়া ভিটা ছাড়া কতশত পরিবার,
অসহায়ের মত পড়ে থেকে করেছে দিন পার।
একের পর এক লাশ জমে জমে হয়েছে লাশের পাহাড়,
জ্বলেছে কত গ্রাম জ্বলেছে কত ঘর কত নারী হয়েছে পশুদের আহার।
কত মা মুখে নেয়নি অন্ন তার সন্তান হারানোর শোকে,
কেঁদেছে মা তার স্নেহময় সন্তানের লাশ জড়িয়ে বুকে।
আদরের সন্তান হারিয়ে পিতার চোখে নেমেছে খরা,
সন্তান শোক সইতে না পেরে পিতা হয়েছে দিশাহারা।
একদিন নয় দুইদিন নয় তিনদিন নয় নয়তো দিন চার,
বাংলার মানব এই যন্ত্রনা সয়ে সয়ে করেছে নয়টি মাস পার।
এতো হত্যা লুন্ঠন ক্রোধ হাহাকারের শেষে,
মুক্তিযুদ্ধের হলো শেষ সোনার বাংলাদেশে।