ভোটকানা স্বৈরাচারী ডিসেম্বারিজম যখন তুঙ্গে
বেশ রঙ্গে-ঢঙ্গে যখন খুন পিশাচের খোঁচড়ানি
টেন্ডার-চাঁদাবাজি যখন সশস্ত্র বৈতালিক
যখন সুচতুর নাখেলা শৃগালেরা খাদিজা খোবলে
তখনও আমি একটা বিরাট সুন্দরের প্রশংসা করতে এলাম—
মিথ্যাচার-প্রপাগ্যান্ডা যখন সুশ্রী-সুন্দর
যখন দংশিত বিবেকগুলো বোবাকান্নায় গোঙ্গে
সত্য-সুন্দর যখন গর্তে লুকাতে খাল খুঁজে ফিরে
নিরাশার চাদরে পরিকল্পিত আশাগুলো যখন আশাহত
তখনও আশা জাগানিয়া সুপ্রতিষ্ঠিত এক বক্তব্য নিয়ে এলাম—
মেধার লালনে যখন পক্ষপাত দূষ্টতা
মেধাবীরা যখন দেশে মেধা হত্যার রাজনীতি করে
রুটি ভাগ করার আদর্শ যখন বিশালতায় বিস্তৃত
ব্যাঙ্ক-বীমা থেকে আর্থনীতির ধারকেরা যখন নীতিহীন
যোচ্চুরি-বাটপারি যখন পারাপারের তরী
ঘুষ-ঠকবাজি যখন ছিনালীমিছিলে বাজিমাতে অভ্যস্ত
তখন ঘুষহীনতার উজ্বল আদর্শিক দৃষ্টান্তের বন্দনায় এলাম—
ধর্মও যখন ধর্মহীনতার দ্বারা নিষ্পেশিত-জর্জরিত
নীতিবাদও যখন নীতিহীনতার প্রশংসায় সময় নিয়োজিত করে
ক্ষমতা সুরক্ষার বন্দুক যখন ‘শিকার গড় শিকার মার’-তে ব্যস্ত
যখন গুম-খুন বিভীষিকায় বিভেদময়-সদপরামর্শও গুমটবাঁধা-নির্বাক
তখনও একটা চরম সত্যের সবাক প্রশংসা নিয়ে এলাম—


আমি পরম প্রয়োজনীয় একটা শালীন বদলের কথা বলছি
আমি প্রতিষ্ঠিত বর্ববরোচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিবর্তনের কথা বলছি
মেরুদণ্ডহীন-অর্থলুলোপ-স্বার্থপর-হীন-পিচাশদের দমানোর ইতিহাস বলছি
আমি হাসিনা সরকারের স্কুল-কলেজে শিক্ষক-প্রভাষক নিয়োগের কথা বলছি—


এ নিয়োগ বিগড়ে যাওয়া সংস্কৃতির আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে
এ নিয়োগ শিক্ষা-সংস্কৃতির ভিত্তিকে মজবুত করে দিয়েছে
আমি সামান্য কবিতায় এত বড় কবিতার আর কী প্রশংসা করতাম—


অবহেলিত দূর্দশাগ্রস্থ শিক্ষকদের সম্মানিত করা হয়েছে,
সম্মানিত করা হয়েছে গোটা সমাজ-জাতি-দেশকে;
মেধার মূল্যায়ন করা হয়েছে;
শিক্ষাকে সম্মান করা হয়েছে;
বীজ বপন করা হয়েছে অনাগত সুসংহত ভবিষ্যতের
এবং এ প্রাপ্তির সমস্ত সুরেলা নির্যাস
মাননীয়া মন্ত্রী প্রধানাকে উসর্গিত হক যুগ-যুগান্তের তরে।


—আমি চাকুরী নিতাম স্কুলে ঘুষ ছাড়া! এটা হতে পারে!
—আমি চাকুরি পেতাম মামু বিনে—বিশ্বাসের ভাবনাও করা যেত না।


কী অদ্ভূত সুন্দর এ নিয়োগ!
অর্থ হাতানোর বিপরীতে কী হৃদ্যতার প্রশ্ন!


এমন নিয়োগের গল্প নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দেব;
এমন নিয়োগ বিশ্বে মডেল আকারে ছেড়ে দেব।


—এমন নিয়োগে যদি দেশ ছেয়ে যায়
তবে একটা মসৃণ সুন্দরের প্রত্যাশায় স্বাভাবিক ভাবে
এ শক্তহস্ত বারবার আমার আশির্বাদ গ্রহণ করুক ।