“কষ্টে আছি” হঠাৎ এতদিন পর
আইজুদ্দিন তুমি ছিলে আমি এখন
এক রহস্যময় দেয়াল লিখন
গ্রাম হরিহরপুর; হরকরা ডাকঘর
জেলা মুনশীগঞ্জ শ্রীনগর
রক্তিম প্রতিবাদ দেয়াল লিখন
মনে পড়ে যুবক? আইজুদ্দিনের কথা
পুরান ঢাকার রাজপথের দেয়ালে দুপাশ
নীলক্ষেত দোয়েল-চত্বর নির্জন শাহবাগ
একেকটি পত্রিকা সাঁটা যেন কবিতার প্রতিযোগিতা
ঢাকার ফোকলা দাঁতের দেয়ালের আয়নায় তুমি
কষ্টে ছিলে আইজুদ্দিন এখন আমার পালা!


কষ্ট আমার নাগরিক যন্ত্রণা না বলা কথা
কষ্ট এখানে বিস্ফারিত নিশ্চুপ ব্যাকুলতা
রিকশার প্যাডেলে বেকার ঘুরে চাকুরীর সাক্ষাৎ
দুটাকা বাসের টিকেট একমুঠো চানাচুর
ফ্লাড লাইটের উপচানো আলো নীলাভ মধুর
বানর ঝোলা হ্যান্ডেল গন্তব্য শাহবাগ
চে গুয়েভারা জন্মেনা অগাস্টা পিনোশেট
হবেনা প্রতিবাদ নিষিদ্ধ ঘামে কম্পিত পেট;


নিমেষেই চোখে পড়ে তোমার শ্লোগান
ভুলে বেকারত্ব সীমাহীন যন্ত্রণা পারাবতের
যুগল জুটি বিপরীত হাতে হাত যায় উদ্যানে
অপলক চোখে তাকানো যুবক
হৃদয় নিংড়ানো নিঃশ্বাসে
তুমি আইজুদ্দিন আমি এখন
তাকিয়ে থাকে তোমার শ্লোগান
কষ্টে বাঁচি নিগড়ে নিষিদ্ধ প্রাণ;


ক্ষুধার্ত দুটি চোখ কুঁচকানো দূরবীন
কি কষ্টে আছি দেখে যাও আইজুদ্দিন।।


(মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৩১ ভাদ্র ১৪২৭, ২৬ মুহাররম ১৪৪২ হিজরী)


(**আমার প্রিয় বড় ভাই আর বন্ধু প্রতিম khobor24bd.com পত্রিকার সম্মানিত সম্পাদক জনাব ফজলুল করিম খান তপন ভাই, আমাকে বড় একটা ভুল থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। এর জন্য ওনার কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। প্রিয় সম্মানিত কবি সকল, এই ভুলটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত আর স্মৃতি ভ্রমের কারণে হয়েছে। এই কবিতায় আমি আইজুদ্দিন কে মইজুদ্দিন লিখে ভুল করেছি। সেই ১৯৯০ দশকের ঘটনা হবার কারণে আমি স্মৃতি ভ্রমের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। এর জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত।)


আমি এই কবিতাটা প্রিয় সম্পাদক ফজলুল করিম খান তপন ভাইকে উৎসর্গ করলাম।


ভুল সংশোধন করেছি নিম্নের তারিখে।
(বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৯ আশ্বিন ১৪২৭, ০৬ সফর ১৪৪২ হিজরী)