একটি গোলাপ ধুসর ব্যাগে খয়েরী ক্যাটবেরী
ব্যস্ত সড়কে অঝোর ঝর্না বৈশাখী বারি ধারা
নিশ্চল ঘুমে অচেতন গেছে স্টেডিয়াম রোড
স্বপ্ন আশার নকশীকাঁথা আজ হবে সারপ্রাইজ
লাল নীল সাইন হরেক নিওন, আজব এ্যাডভার্‌টাইজ;
কর্ডোভা লাউঞ্জ পদ্মার চর, ক্লোস্‌ড সাইনবোর্ড সাঁটা
পল্টন মোড় নাইটেংগেল প্রেসক্লাবে তারকাঁটা
ট্যাক্সি শূন্য নীরবতা গ্রাসে গম্ভীর রাজপথ
আলোক সজ্জা কর্ণফুলী গার্ডেন কমপ্লেক্স
বিষণ্ণ রাত্রে হুইসাল ফুঁকে বেনাপোল এক্সপ্রেস।


চোখ দুটো দেখে টুপুর টাপুর বৃষ্টি ছুঁইয়েছে হাঁটু
রাতের রানীরা স্টিল শেডে রোমিও দৃষ্টি নিচু
ডিভাইডারের পীত চমকানো লাইটহাউজ ল্যাম্প পোস্ট
তবুও তোমায় যেতে হবে দূরে তিন হাতি বিছানায়
বঙ্গবন্ধু এভ্যিনিয়ু চুপ, সিটি সেন্টার ফাঁকা;
অপেক্ষা তার করবেনা পেট, খেতে হবে দু দানা
ক্রিসেন্ট লেকের কৃষ্ণচূড়ারা বাতাবি লেবুর শ্যাডো
জেনেভা ক্যাম্পে মোস্তাকিমের বিরিয়ানি যদি হতো
হাজার বেতনে নেক টাই বাঁধা ঢাকার কর্পোরেট
ভাবছে রোমিও আদতে চাকুরে হালে আধুনিক স্লেইভ।


তীক্ষ্ণ চোখে সিকিউরিটি পোস্ট আচমকা ব্যারিকেড
চকিত দৃষ্টি ক্যাটবেরী বক্স, সব হোল এভিডেন্স
অবমাননায় নমিত হৃদয় নীল ইনফেচুয়েশান
জিজ্ঞাসাবাদ মনে করে তাকে এই সেই টার্গেট
ক্লোজ রেঞ্জ মুডে ট্রিগার চালায় সিকিউরিটি চেকপোস্ট
ক্যাটবেরী ফুল রোমিও কপালে তাজা রক্তের স্রোত
দুচোখ আকাশে নিঃস্পৃহ চোখে লেগে ছিলো শেষ কথা
না বলা কথা হলোনা বলা, প্রাণ খেলো স্বাধীনতা
ঊষার লালিমা সূর্য উদয় শহরের কার্নিশে
ঢাকার রোমিও অজ্ঞাত লাশ সভ্য বাংলাদেশে।


(বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১, ২৬ ফাল্গুন ১৪২৭, ২৬ রজব ১৪৪২ হিজরী)


<কবিতায় প্রচুর ইংরেজী শব্দ ব্যবহার করেছি, যা সাধারণত আমি করিনা>