(Original “Sound of Silence” by Paul Simon, 1964)


শোন আমার পুরানো বন্ধু অন্ধকার
তোমার কাছে আছে কিছু কথা বলার
অন্তর্দৃষ্টি জড়িয়ে ধরেছে ধীরে
গভীর ঘুমের চেতনে রেখেছে তার অনুভূতি ঘিরে
কল্পনার ঘোড়া বুনেছে মস্তিষ্কের শিরায়
এখনো নীরবে সেখানে ঘুমায়
নিস্তব্দতার প্রতিধ্বনিতে।


অনন্ত স্বপ্নের ভুবনে একাকী নিঃসঙ্গ
টুকরো পাথরে মোড়া সরু নিকুঞ্জ পথে
উজ্জ্বল আলোর মোহনীয় রাস্তার বাতি গুলো
শীতল কুয়াশার অনুভূতিতে জামার কলার ঢেকে
নিওনের দীপ্ত রশ্মি ঝলসে দেয় দৃষ্টির চাহনি
রাতের অন্ধকারকে করে দূরীভূত
ছুঁয়ে দিয়ে নিস্তব্ধতার প্রতিধ্বনিকে।


উন্মুক্ত আলোতে তাকালে স্থির হয়ে যায় চোখ
হাজার হাজার মানুষ অথবা তার চেয়ে বেশী
লোকেরা নির্বাক অথচ কথা বলছে
লোকেরা নিশ্চুপ অথচ শুনে যাচ্ছে
লোকেরা এমন গান লিখছে; যা কখনোই অন্যকে বলেনা
এবং কেউ তা করেও না
নিস্তব্ধতার প্রতিধ্বনিকে বিরক্ত করে।


বোকারা বলে আমি নাকি জানিনা
নিস্তব্ধতা তো বাড়ে ক্যান্সারের মত
আমার এই কথাগুলো কি শুনবে; যাতে কিছু শেখাতে পারি
আমার এই হাত ধরবে; যাতে আমি তোমার কাছে পৌঁছাতে পারি
অথচ আমার কথাগুলো নীরব বৃষ্টির ফোঁটার মত ঝরে
প্রতিধ্বনিত নিস্তব্ধ কুপে; যেভাবে ফিরে আসে নিজের কথা নিজের কাছে।


লোকেরা মাথা নত করে উপাসনা করে
প্রভুর প্রতিমাকে যা নিজেরাই তৈরি করে
আর নিদর্শন গুলো সতর্ক বার্তা দিচ্ছিলো
যে কথাগুলোর উপর তার ভিত্তি ছিলো
নিদর্শন বলেছে, “আধ্যাত্মিক কথাগুলো পাতাল রেলের দেয়ালে লিখা আছে”
আছে মানুষের আশ্রয় স্থলে
ফিসফিস করে নিস্তব্দতার প্রতিধ্বনিতে।।


(সোমবার, ০৫ অক্টোবর ২০২০, ২০ আশ্বিন ১৪২৭, ১৭ সফর ১৪৪২ হিজরী)


(আমি ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদে স্বচ্ছন্দ নই। তাই কিছুটা ভাবানুবাদের মিশ্রণ আছে এখানে। অনুবাদে ভুল হলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান রইলো, যাতে ঠিক করে নিতে পারি। কবিতার নামও ভাবানুবাদে দিয়েছি “নিস্তব্দতার প্রতিধ্বনি”।)