গর্বে আমার বুক ভরে যায়
আমি চাষীর ছেলে,
আনন্দে মন নেচেঁ উঠে
কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিলে ।
গাঁয়ের পথে হাটতে গেলেই
উদাস হয় যে মন,
গাছ-গাছালি পাখ-পাখালি
লাগে আমার আপনজন ।
ধানের ক্ষেতের আলে যখন
ডাহুক বাঁধে বাসা,
মিষ্টি সুরে দিগন্তেতে
কাব্য হয় যে লিখা ।
নদীর ধারে মাছের ঝাঁকে
হৃদয় নাড়া দেয়,
এপার ওপার দুই কূলেরি
মানুষ,ভাবের কথা কয় ।
বর্ষা-বাদল এসব যেন
সবার কাছেই প্রিয়,
সহজ-সরল গ্রামের মানুষ
বুনো হয় না শুনো ।
সকাল সাঝে পাখির ডাকে
ঘুমের ইতি হয়,
মেঠো পথে রাখাল ছেলের
জীবন শুরু হয় ।
জ্যোষ্ঠ-আষাঢ় সবই মোদের
পিঠের উপর সয়,
চাষীর ছেলে সকাল-বিকেল
মাঠের দিকেই রয় ।
সহজ-সরল জীবন মোদের
নেই শহর পানের পিছু,
গাঁয়ের মুখের হাসিই মোদের
চাই লেগে থাকুক শুধু ।
চাষী হয়েই জন্ম আমার,
ফসল ও মাঠই আমার বাসা
মরার পরও চাইবো যেন
হয় এই বাংলায় ফিরে আসা ।