ইস কি যে ব্যাঙের ছাতা অভিনয় করো তুমি,,!
ছাই না মাথা?
আচ্ছা তোমাকে দেখে কভু
দালান হতে বস্তি কুকুরের জিহবায় জল এসেছে?
অর্ধ্বাহারে অনাহারে মরে যেতে থাকা গাছটাও
হঠাৎ চিৎকার করে বলেছে,,এই যে শুনো,,শুনো
আমিও আজন্ম বেঁচে আছি,,
আহা একটু এদিকেও বাতাস দাও,,
এমন কিছু বলে নি কভু,,,?


কভু তোমাকে দেখেই ধপাস করে উড়ে যায় নি
দুনিয়ার সমস্ত নামী দামী মহামান্য বস্ত্র,,,
মাটির তল হতে নানান আভরণ ছেড়ে
নগ্ন দেহে বের হয়ে আসেনি পিয়াজ?
তাহলে কি আর অভিনেত্রী হলে প্রজয়া,,,
কি আর অভিনেত্রী হলে,,
তোমাকে দেখেই যদি দন্ডয়মান কলমের কালি
না যায় পড়ে সাদা কাগজে,,,।
শান্ত দধির ভাণ্ডের মাঝখানে
শুরু না হয়ে যায় আপন মস্তকে আপনারে
পৌরুষতন্ত্রের মন্থন
তাহলে এমন কি-ইবা অভিনয় শিখলে,,,?


আচ্ছা,,থাক,,,থাক
আমি মহারাজ,মহানায়ক,,মহাপবিত্র
মহা বিত্তশালী,মহা যুধিষ্ঠির সমেত পঞ্চপান্ডব এই সমাজে।
আসো আসো নায়িকা,,আসো আমার কাছে,,
আজ তোমাকে আমিই শিখাব নৃত্য অভিনয়,,
যে নাঁচের সাথে,যে অভিনয়ের সাথে
বাজবে ঠিক আমার বিয়ের রাতের সানাইয়ের বাজনা,,
যে পোশাক পরে পৌরাণিক কালে,,
আমার অন্দর মহলে এসেছিল
আমার দেহের গ্রাসিত নববধু,,
ঠিক সেই পোশাকই আজ পরাব তোমায়।
তোমার দেহের প্রতি ইঞ্চিতে নাঁচবে
আমার নজর ওই দেবসভার মত।


ওরে নয়ন ক্যামেরা,,,যত আছ চারদিকে,,,
তোমাদের দৃষ্টি কর উন্নত নগ্ন প্রস্তুত,,,
নায়িকা আজ স্বর্গ নৃত্য  শিখবে,,
শিখবে নদীর স্রোত ধারায় নারীর অভিনয়!
মহা বলশালী ইন্দ্রদেবের কাছ হতে,,,
ঠিক ইন্দ্রানীর মত,,মেনে শত শত পরাজয়।
লাইটম্যান,,ওহে বাতির রসিক স্বঘোষিত বিশ্বকর্মা,,
সব বাতি সব জায়গায় জ্বালাতে নেই,,,
নিভাতেও শিখতে হয়,,,,গোপন জ্ঞানে।
যদি না নিভাতে জানো ওহে
তাহলে ছেড়ে যাও এই রঙ্গ মঞ্চ
বসে পড়ো বেকুব  দর্শকের সারিতে,,
ইস্পাতের পর্দায় যা দেখছ,, শুধু তাই দেখে যাও
মাটির হর্ষিত বদনে।
কভু দেখবেই না,জানবেই না
কি হয়,কেমনে হয়
আলো আঁধারীর মিলন খেলা
পর্দার অন্তরালে!


যে অন্তরালেই নায়িকাকে আজ বুঝিয়ে দিব,,
গা থেকে কাপড়টা ঠেনে নিলে কোন পালোয়ান চিল,,
কিবা একটু দুটো কামড় বসিয়ে দিলে
ভদ্রতার আড়াল হতে অভদ্র মহাগুনী শিয়াল,,
তাতেও ছেড়ে দিও না ব্যবসার হাল,
নায়িকা তাতেও ছেড়ে দিও না লাভের হাল,,
ওই চেয়ারের স্বর্ণ খচিত মুকুট পরিতে গেলে
এ নিয়ম চিরিদিনের জন্য বহাল।
পুরুষের কলমে
নারীর খাতায় হেনতেন লিখার, এটাই খেয়াল।


এই খেয়ালে খেয়ালে নাঁচ শিখতেই হবে নায়িকা,,
অভিনয় শিখতেই হবে ,
মেনে নিয়ে সব ভদ্রতার অভদ্র জঞ্জাল,,।
মানো নায়িকা মানো,,,,
সদ্য বিধবা বেহুলার গায়ের মাংসের দুলনীর
দামই যে লক্ষ্মীন্দরের পুনঃবার প্রাণ।
এক দেবতার ইচ্ছেতে পাথর,,
আরেক দেবতার অনিচ্ছার পদছুঁয়াতেই যে
অহল্যাদের ইচ্ছা অনিচ্ছাহীন জীবনের  সম্মান।


যে সম্মান সেই জুতোটার মতই পাবে
চতুর্দিকের সব কিছুতেই,,বেশ দামে!
শখ করে কিনে নিয়ে আসা জুতা,,
শুধু পায়ের পরিমাপ না জানার অপরাধে
ফিরিয়ে দিলে তাকে,,তার আপন স্থানে,,
ফিরে গেলেও সে,,,তোমার চরণ খানি না ছুঁয়ে।।


নায়িকা কোথায় যেন জুতার এমন জীবনটাই
সহাস্যে মিতালী করে যায়
তোমার জীবনের নিত্তিমূলক
জয় পরাজয়ে।
মেনে নাও,,,নায়িকা
এমন জীবন কারে কয়ে?
দেবরঙের এমন নৃত্য,
এমন সুরসুরি অভিনয় না শিখে
ফিরে যেও না ঘরে,,,নায়িকা
ফিরে যেও না ঘরে,,,,!