অনেক দিন পর,,চুলগুলি গুছিয়ে,,ফুলদানী হতে দুটা ফুল চুলে লাগিয়ে এই ত বেশি নয়।পাঁচ মিনিট,, না না চার মিনিট চল্লিশ সেকেণ্ড কথা বললে,,আহা কী কথা। তুমি জানো তোমার এই কথাগুলির জন্যেই আমি দু বছর ধরে কোন পানি পান করি না,,।কেন করি না?
মনের তৃষ্ণা কি আর পানি দিয়ে পূরণ হয়,,তুমিই বলো।ঘরের দেয়ালে দেয়ালে আমি অনেক ছবি লাগিয়ে রেখেছি,,বিশ্বাস করো গত এক বছর ধরে একটি ছবি আমি চোখে দেখি নি,,দেখব কি করে চোখ তো আর কেবলি চোখে থাকে না,,,কিছু কিছু মানুষকে চামড়ার চোখে দেখা যায় না,দেখা উচিতও নয়,,,
লাকী শুনছ,,শুনছ তুমি,,
আজ দুই বছর ধরে এই শহরের সেই রেল লাইন,বিকালী পথ ঘাট,বানু দার ঝাল- মুড়ির দোকান সব,, সব উদাও ছিল,,।কোথায় যে গিয়েছিল তারা,,তাও জানি না,,
শুধু অফিসের বড় বাবুর ঘ্যানঘ্যান, রাস্তার মাঝে ভীর,গাড়ির গ্লাসের মত চশমার উপর ধুলি,রাত ভর কোন শিশুর অক্লান্ত কান্না,,নির্বাচনের মারামারি,নেতা-নেত্রীর চুল পুঁড়া বাচলতা,, এগুলিই ছিল,,বেশ ভালো করেই ছিল,,
ও বলতে ভুলে গেছি মাছ বাজারের এক মাছ ওয়ালির ডাকটা ততদিন কী কারণে জানি প্রিয় হয়ে গিয়েছিল


কোথায় জানি কিছু ফুল খেয়ে ফেলছিল কিছু পোকা,,শষ্য ক্ষেতেও ভুতদের মিলন মেলা বসে যাবার অনুমোদনও দেওয়া প্রায় হয়ে গিয়েছিল,,
ঠিক সেই মুহুর্তে তুমি যতক্ষণ কথা বললে,,ফুল মাথে পরে,শাড়ির আঁচলে দেহ সাজিয়ে,গায়ে সুগন্ধি মেখে, ঠিক বিয়ে হবার দুবছর আগের কোন এক প্রান্তে হাতে ধরে নিয়ে গেলে,,,আহা,,কী প্রসবিনী!  কী সঞ্চারিণী!  কী মায়াবিনী,,,
আমি মুগ্ধ চিত্তে ফিরে পেলাম সেই আমিকে,,দু বছর পর আমি আবার পুরুষ,আবার প্রেমিক,আবার এক বাঁশীওয়ালা,,
দু বছর পর,, এই প্রথম বুঝলাম আমি এখনো প্রেমিক,,এখনো আকর্ষিত পুরুষ,,
আমি শুধু বাজারের ফর্দ আর হিসাবের নিত্তি মাপার লোক নই।