একটা মোমবাতি জ্বালাবে বাবু?একটা ছোট্ট মোমবাতি।
না না তোমার প্রাসাদ বাড়ির উপরে নয়,,
কিবা রঙশালার ভেতরে আতশবাজির কক্ষে নয়
বরং তোমার কাছে কিবা তোমার অন্দরের অন্দরে
যে অন্ধকার জায়গাটুকু রয়েছে,,অগোচরে
ঠিক সেখানে একটি মোমবাতি জ্বালাতে পারবে,? পারবে তো?
অন্ধকার বিলাসী হতে হতে আলোর প্রতি
আমাদের যে কত ভয় প্রস্তর পথ বাবু,,
তা কি অতিক্রম করতে পারবে?
কি জানি হয়ত পারবে,,হয়ত পারবে না
তবুও বলছি,,
মোমবাতিটা যখন জ্বালাবে ঠিক তখন  
চোখটা তোমার যেন থাকে না মোমবাতির দিকে
এমন কি নিজের বাড়ির সীমানার দিকেও
থাকে না বলিষ্ঠ বন্ধকি নজর,!
বন্ধকি থেকে থেকে মুক্তির আনন্দ
যে আর আনন্দ লাগে না কভু।
খাঁচার পাখিও হঠাৎ করে চায় না ওড়তে।।


চায় না গো,,চায় না।
যা হোক  হাতের উপর একটি মানচিত্র,,
ঠিক তোমার দেশের মানচিত্র খানি রেখে দিও।
যে মানচিত্র খানি দেখে দেখে হাসতে হাসতে
মোমবাতিটা না হয় জ্বালিয়ে দিও,,
গায়ে না হয় রেখে দিও, দেশের সেই পতাকা
যার অনেক খানি রং দেখি দেখি করেও
আলোর অভাবে দেখা হয় নি,,অনুভবে অনুভবে।
পাওয়া হয়নি বুকের স্পর্শ,, বুকের তরঙ্গে।
সেই রঙ,সেই স্পর্শ খানি না হয় আজ দেখে নিও,,
একেবারে হাতের কাছে নিয়ে,,
মোমবাতির আলোর আদরে আদরে।
যে আদরে আদরে
একটু চোখের জল মিশিয়ে দিয়ে
ওই পতাকার উপর,, প্রাণ খোলে বলিও
হায় স্বদেশ, হায় ভুমি এতদিন কাছে থেকেও
পাই নি যাকে কাছে,,রই নি যার কাছে
তা আজ অন্ধকারে,,সুনামীর ভীরে
তোমাকেই দিলাম, প্রাণভরে নিলাম
এক মোমবাতির আলোর আবেদনে,৷।


দুবিয়ার অশনি অন্ধকার দেখুক,,
কেমন করে,  আলো লয়ে বাঁচি
দাঁড়িয়ে
মৃত্যুরও দুয়ারে।।