একটা চমক হোক,,
কী বলেন,,?
সমস্ত ধর্ষক কে আদর করে এনে
বসিয়ে দেওয়া হোক,,কোন এক আইন সভায়।
অতপর তাদের পায়ে ফুল চন্দন দিয়ে
পূজা করে করে,, মাথার উপর এক ছাতা ধরা হোক
যে ছাতার উপর স্বর্ণ দিয়ে লিখা হবে স্বর্গ।
ধর্ষকের জন্য আলাদা জমি দেওয়া হোক
রাজা রাণীর বাসভবনের মাটি দিয়ে গড়ে,,
ধর্ষক যে থালায় খাবেন,,সে থালার উপর
একে দেওয়া হোক বিচারালয়,,
যে বালিশে মাথা রেখে শুবেন,,।
সে বালিশের ভেতর রমনী হস্তে সুই সুতায়
লিখা হোক প্রশাসন,,,,


তারপর,,দেশের সমস্ত বিজ্ঞাপনে
ধর্ষকের চেহারা দেখানো হোক আনন্দ উৎসবে।
গান,কবিতা উপন্যাস,পত্রিকার কলমে
কালি ভরা হোক ধর্ষকের মুখের লালা দিয়ে,,
ধর্মীয় বক্তার চোখের চশমার গ্লাসটাকে
আরো আরো সাজানো হোক ধর্ষকের নজরে।
যতগুলি বন্য পশু আটকা রয়েছে চিড়িয়াখানায়
তাদেরকে সভ্য করা হোক ধর্ষকের ছবি দেখিয়ে,,
জঘন্যতম বাতাসের গায় উর্বর মস্তিস্কে
বসানো হোক তৃতীয় মাত্রা টকশো আয়োজন,,।
ধর্ষকের সূত্র, উপসূত্র, নীতি কিবা উপনীতি নিয়ে
রাতভর জ্ঞান সংগ্রহে ব্যস্ত থাকুক,,ছাত্রসমাজ,,
আকাশে বেলুন উড়িয়ে,, মানচিত্র পরিমাপে
সাজানো হোক ধর্ষকের চেতনার নেশা
যে নেশার ঘোরে,,হোট করে কেই
কোন চেয়ার হতে বলবে,,


আরে ওহে কবি,,
বেতালা,বজ্জাত, তিন পয়সার কবি
আমার চেয়ার ধর্ষকের জন্য না,,
আমার চেয়ার নারীকে মাংস ভাবুক
কোন পশুর জন্য না।
আমার চেয়ার ওই পরিবারের জন্য
আমার চেয়ার ওই সমাজের জন্য
যেখানে ধর্ষকের জন্ম হয় ধর্ষকামী হাওয়ায়
যেখানে ধর্ষকের লালন হয়
নানান বিশ্বাসী চেতনায়,,।
যেখানে ধর্ষকের উপসংহার হয়
রাজ মাতা দেবযানীর,,,, ঘুমের পাহারায়।।


#############
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
২৭/০৯/২০