সেই সত্য যুগ হতে কলি যুগে আসলাম,,
কিছু কথা বলব বলে তার সাথে,,,
সমর্পিত হব কথার সাথে কথাহীন হয়ে,,
কিন্তু একি কথার গর্ভে শুধু
কথারই যে জন্ম হল স্বপ্নের কোম্পানিতে।
আশারা কেবল হল প্যাকেট জাত
আশার ফ্যাক্টরিতে।
তাহলে কবে হবে কথা তার সাথে?
কোন যুগে, কোন তিথিতে আসবে সে সময়,,
সে মধুকাল,,,
যার জন্য ঈশ্বরও ভিখারী জন্ম মৃত্যু খেলায়।
কথা নাইবা হোক দেখাত হবে?


যদিও রাস্তা ঘাটের বদল হল,,,
কুড়ে ঘরের চালায় বসল মাটির ইট,,,
ওই ভিখারিনীর ছেলেও হল বিলেত প্রবাসী,,
অভুক্ত চাষীও লাঙ্গলের ফলা দিয়ে বানালো কলম,,
লিখলো নানান চিঠি নানান ভাষায়
তবু দেখা যে হলো না তার সাথে,,,
কবে হবে দেখা,,,
আর কত জনম নিলে পাবো দেখা।
ওহে প্রেমিক ওহে প্রেমিকা,,
আমার হৃদয় হতে শব্দ মঞ্জুরি রেখে যাচ্ছি আমের মুকুলে,,
ভাদ্র মাসের পাকা তালে,,,
শীতের খেজুর রসে,,
রেখে যাচ্ছি তোমাদের শিকল ছেড়া মনে,,
যদি কভু দেখা হয় তার সাথে
যা আমি বলতে পারি নি,,,
তাহাই দিও বলে,,চোখ টিপে,,
সমর্পিত করো প্রেম সেই দেব দেবীর চরণে,,
যাকে ভেবেই রাতের নিদ্রা ভেংগে যায়
কারণময় কারনে অকারনে


যাকে ভেবেই তুমি উড়ুনচন্ডী,ভয়াবহ প্রেমিক,,
যাকে ভেবেই তুমি কলংকিত রাধিকা,,,
তার কাছেই উজার হয়ে বলে দিও,,
আমিই কিছু চুমু গচ্ছিত রেখেছি তোমাদের কাছে
আমি কিছু কোলাকোলি জমা রেখেছি তোমাদের হাতে,,,
শুধু তার জন্যে,,,
যার সাথে দেখা হবার কথা ছিল
তোমার মত জন্ম নিয়ে কোন এক দিন,
পৃথিবীর কোন এক প্রান্তে
পেয়েও গিয়েছিলাম তাকে,,
ভেবেছিলাম সেই কিনা জন্ম নিয়েছে
নাটোর হতে হবিগঞ্জে,,,
সেই কিনা করেছে নাম বদল
বনলতা সেন হতে মোনালিসা,,


অত:পর ভুল যে ভাঙ্গলো আমার,,
তন্দ্রা যে হল অতিক্রম।
আরো সাত জনম যে আমার রয়ে গেল বাকী,,,
সমর্পিত হব যার কাছে,জনম জনমের চর্চিত প্রেমের
গচ্ছিত মূলধন লয়ে।
সেই জনমেই দেখা হবে,,
এই জনমে খুঁজেই গেলাম যারে।
সেই জনমেই তুলে দিব সব,,,
তোমাদের কাছ হতে
পবিত্র চুমুর পবিত্র হিসাব লয়ে,,
কাঙ্ক্ষিত কোলাকোলির অতৃপ্ত বাসনা লয়ে।