বিশ্বাসের অঙ্গনে অবিশ্বাসের হাত
যেভাবে গড়ে নিল তুর্কিনাচন রাজপ্রাসাদ,,
তা কি সহজে আর যাবে দূরে,,,?
সহজে কি ইচ্ছে করলেই ডাক দেওয়া যাবে
ও প্রতিবেশি কাকীমা,,দরজাটা খোল
এক গ্লাস জল খাব,,গো!
ইচ্ছে করলে কি বলা যাবে,,
ও হারুন চাচা,,জানালাটা খোলে দাও
একটু তোমার সাথেই গল্প করব,,
ইচ্ছে করলেই কি আর হওয়া যাবে
গাড়ির চাকা পথের অন্তহীন বুকে?
ইচ্ছে করলেই কি আর
মেঘের সাথেও করা যাবে রঙধনু রঙধনু খেলা,,
ইচ্ছে করলেই কি ভাতের হাড়িতে
মেশানো যাব ভাত,,,ব্যাধবিচারহীন হয়ে?
ইচ্ছ করলেই কি,,ঘরের ভেতর
ধরে আনা যাবে বাহির?
ইচ্ছে করলেই কি শিলিং ফ্যানের সাথে,,
মেশানো যাবে দূর মাঠের অচেনা অজানা বাতাস?
ইচ্ছে করলেই কি শ্বাসের মাঝে
পাওয়া যাবে কেবল শ্বাস আর শ্বাস!!


হয়ত তা আর হবে না,,,এসব
পথের সাথে পথের যে ছিল মিলন
সেখানে বসে গেছে আজ নানান ফিল্টার,,।
দেয়ালের সাথেও যে ছিল দেয়ালের ছোঁয়াছুঁয়ি
তাও আজ হয়ে আছে নারী পুরুষ ব্যবধান,,।
ব্যবধান হয়ে গেছে প্রেমের সাথে ভালবাসার
কোথায় যেন স্বার্থপরতার বীজ চাষ হচ্ছে মধ্য ঘরে,
হারিকেনের আলেকজান্ডার আলোয় দেখানো হচ্ছে
মীরজাফর অন্ধকার,,  
কোথাও যেন রাম্য বাতাসের মাঝেই রচিত হচ্ছে
রাবণ্য দূরত্ব প্রাণ হতে প্রাণে,,,!
বাঁচনের তাগিধে নিশ্চিত মৃত্যুই যেন হয়ে আছে আপন
অনিশ্চিত বাঁচনের সকল উপাদানে।
মৃত্যু আজ আপনার সাথে আপন খেলে
নিকঠ নিকঠ ব্যবধানে।।