ছেলেটিকে দেখে শহরের উপর
কত পাখি উড়ে আসে,,,?
কিবা যে নদীটির জল হয়ে গিয়েছিল ময়লা বুড়িগঙ্গা,,
সেই নদীর জলও কি স্বচ্ছ পবিত্র
নলকুপের জল হয়ে যায়,,?
না কখনো না,,,।
এমন ভাগ্যের ছেলে দেখে
পাখিও তার গান ভুলে যায়,,,
কত সাদা ডিম
কত পাখির নিচেই হয়ে যায় নীল বর্ণ ,
হা হা আবার নদীর,,, স্বচ্ছ জল


এই সব ছেলেদের জন্য,,,
গাছের নিচে,, না পাওয়া যায় ছায়া,,,
পথের বুকে,, না পাওয়া যায় পথ
এমনকি বৃষ্টির জলে না পাওয়া যায় বৃষ্টি,
ওরা জন্ম নিয়েছে বলেই
বেঁচে আছে মরণের অপেক্ষায়।
ওই দেখ না,,,
ওদের দেখলেও মাটির বুকের
সবুজ ঘাসও মুখ লুকায়।
কিন্তু কেন,,,


ঈশ্বরের হেয়ালিপনায় হয়ত তার
মস্তিস্কের অনু কণা চলে যায় ধীরে কিবা দ্রুত,,,
পথে ও বিপথে,৷
তাই বলে জন্মের পর হতে
তার পাশে ঈশ্বর হয়ে থাকা সেই দাদাটিকেও
হারাতে হবে আজ?
তার পাশ দিয়েই বয়ে যাবে
নরকের নানান নদী,,
তার পায়ের নিচের মাটি হয়ে যাবে,,জ্বলন্ত কয়লা।
কোথায় থেকে উড়ে এসে
এক বকিনী ধরে নিয়ে যাবে গাছের সকল বক,৷
হারিয়ে যাবে ছেলেটির বেঁচে থাকার এক মাত্র পথ,,,
যে পথ হারিয়ে নিজের অজান্তেই ফেলবে বলে,,,
দাদারে আজও আমি
খেতে বসলে খাবার চিনি না,,
আজও আমার গায়ের কাপড় গায়ে রয়না,,
আমি জানিই না,,হাসির কী কারন।
বা কান্নার কি ই বা ধরন,,,
আমার বুকের ভেতরে অনুভুতির চিত্র গুলিও
কেনরে দাদা এমন,,,?
আমি বয়স চিনি না
আমি সময় চিনি না,,
আমি চিনি না বাঁচার এত সব কারণ,,,


মুখের লালার সাথে বের হয়ে যাচ্ছি আমি প্রতিদিন,,,
আমার সাথেই কেনরে দাদা,,
আমিই সঙ্গীহীন?
কেন আমি কোন কারনে আজ হারালাম তোকে,,,
আমার যে লাগে ভয় থাকতে ফুলের সাথে,,,,
কেন জানি ছাদহীন জীবনটায়
তুই ই আমার ঈশ্বর,৷
অবোধ এই মানবটায় তোরযে ছিল
এত এত বর,,,
দাদ,এই বর গুলিও কি আজ ভুলে গেলি
ভুলের সাথে,,?
দাদারে আমি যে প্রতিবন্ধি এক শিশু এই বয়স ত্রিশে,,,


আমার এই ঈশ্বরটাকে কেন কেড়ে নিলো
কোন এক ঈশ্বরী,,,
ভালবাসার টানে,,?
জগত কি আমার এত সব দুঃখ
আজও জানে?
জানে কি আমার গায়ের পোশাকটাও
তোর হাত খুঁজে
আমার উদরের সমস্ত অন্ন
হজমের বিলাসে তোরই সহযোগিতা মাগে!
দাদা ওই দেখ,,,ঘরের সিলিং ফ্যানটাও ঝুলে আছে
ছাদটাকে আঁকড়ে ধরে,,,,
আমি আর কাকে আঁকড়ে ধরে ঝুলব দাদা
মরনের সন্ধানে,,,,
প্রতিবন্ধী এক জীবন কি আর
জীবনের এতসব প্রতিবন্ধকতা বুঝে?