আমি যে দৃশ্যত দুর্গা কে আজ
মাটির বেল পত্র পুষ্প দিয়ে
পুজন করতে এসেছি,,,
সে দুর্গা মন্দিরের সজ্জিত
কোন রমনীর অবয়ায়ব নয়,,,
হ্যা সে দুর্গা কল্পিত নেশার মত
কভু শাড়ি পড়ে,,
আবার কভু পড়ে না,,,
কভু তার সব আছে,,,কভু কিছুই নেই।
আমি যে দুর্গা কে
পুজন করতে এসেছি,,,,সে সেই দুর্গা,,,
এইত যাকে চলন্ত সময় বাসে,,,
গন হর্ষিত ধর্ষণ করেছে এক দল সভ্য যুবক।
যাকে  ধর্মোর্ভর বাংলাদেশের পূজা বলতে পারো,,,
বলতে পারো সেই লক্ষ্মী,,,
যে লক্ষ্মীর, লক্ষ্মী পুজায় আতশ বাজির অপরাধে,
পেট হতে লাথি মেরে বের করা হয়েছে
এক দগদগে টুপি পড়া বাংলাদেশ।
দেখানো হয়েছে
মালোয়ান শব্দটার সামুদ্রিক অতল শব্দার্থ।


আমার দুর্গা ওই তো সেই পল্লবিত মেয়েটি,
যে জরায়ুর আদরের ক্যান্সারে
গতকালই গেল মারা
কিবা আগামী কাল যাবে বরাদ্ধকৃত শ্মশানে,,,
আমার দুর্গা সেই অসহায় মেয়েটি
যাকে খাঁচার বোরখা পড়াতে
এক দল উগ্র যৌনখোর ধরেছে শুভ্র ধার্মিক বেশ।
মঞ্চে মঞ্চে,বয়ানে বয়ানে।
যাদের কাছে নারী মানেই,,
নিজের গায়ের লোমের অনিয়ন্ত্রিত লোভ,,,
আর সেই লোভের গণ রস,,


আমার দূর্গা সেই মেয়েটি,
যে রক্তের আলতা স্নোতে সেজে
প্রতিরাত্রে যায়
নানান তিক্ত আনন্দ ঘরে মধু বিতরণে।
আর ভোর বেলায় ছিন্নভিন্ন  দেহটা নিয়ে
এক থালা ভাতের কৃপা করে
সৃষ্টির অভুক্ত কতেক আত্মারে


হ্যা বলতে পারো আমার দুর্গা পতিতা
আমার দুর্গা স্বামী পরিত্যক্তা।
আমার দুর্গা তালাক প্রাপ্তা।
আমার দুর্গা  দেখেছে যৌতুকের নির্মমতা।
আমার দুর্গা গৃহপরিচারিকা
আমার দূর্গা হিজরা
আমার দূর্গা সমাজের বিষ চুষা নীলকন্ঠা
আমার দুর্গা নতুন পুরুষ ঘরে
পুরাতন কাঠের আধুনিক কয়লা।
আমার দুর্গা মনোগৃহ বধুয়া দাসি
আমার দুর্গা অপবিত্র দেহের
পবিত্র নারীত্ব বারোমাসি।