তোমার স্বয়ম্ভু আতর কোলে
আমার ঘর্মাক্ত মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর অনেক দিনের ইচ্ছে প্রদ্বীপ,,
জানি আমার কপালের নিশান সিদূর
তোমার বুকে লেগে যাবার ভয়ে
এ কাজ কভু করবে না,,।
তুমি পালাবে সুতো হীন ঘুড়ির মত নিরুদ্দেশ
তুমি হারিয়ে যাবে হাত হতে পড়ে যাওয়া
পেয়ালার স্বচ্ছ জলের মত,,
দিয়ে যাবে আমি আঁধারকে আরো অন্ধকার করে,,,


হাতুড়ির মত বাতি জ্বেলে এই আধার দূর করা যায়।
কিন্তু সেই বাতির আলো তো আর গায়ে মাখা যায় না,,।
কত কবি কত লেখকরা বলবেন,,
আহা এ ঠিক নয়,,এ ঠিক নয়,
সলিতা জীবন পুড়ে পুড়ে যে আলো দিচ্ছে,,
তাকে আজন্ম অস্পর্শা রাখা কভু কি ঠিক?


কি জানি প্রদীপ,,
কত কবির,,কত লেখকের টেবিলে
স্বপ্ন সলিতা হয়ে জ্বলেই গেলাম,,,
কিন্তু কোন কবি কোন লেখক,,
টেনে নিলো না বুকে,,
কনডমের মত উপকারের প্রতিদান
থুথুসম এক ঝুড়ি নতুবা ডাস্টবিন।


যে ডাস্টবিনের ভেতর আরাধ্য সুগন্ধি হয়ে ভাবছি
বুকে নিবে দূরে থাক, সামান্য ভ্রুক্ষেপও যদি করত,,সময় নিরাকার,,,


তাহলে জানতাম,,
এই পৃথিবী লিখতে জানে,,,
এই পৃথিবী লিখাতে জানে,,,


এই পৃথিবী শুধু আলো নিতে নয়
দিতেও জানে,,,,
পর বধুর নিস্পাপ অসহায় ভালবাসায় পুড়তেও জানে,,,
জানে জীবন্ত সতী দাহ হতে
এক মৃত দাম্পত্য সম্পর্ককে
টেনে হিচড়ে বাইরে ফেলতে,,


জানো প্রদীপ,,,
ঠিক এই কথাগুলি তোমাকে
আমার সিদূর চিহ্নে এক প্রহর বলতে চাই,,,


কিন্তু দিনের দেওয়াল টপকানোর
কোন কয়লা খনির অভিযান বিলাসই যে তোমার নেই।
রাতের পেঁচার মত সঞ্চিত এক গোপন ভালবাসা
মধু গোপনেই দিয়ে যাচ্ছে রাতের পর রাতে,,।


পরবধু হই,,আমি
বাইর ঘরের জল হই আমি
হই না শিশির ছোয়া রাতের ফুলে
তবুও যে বউদি আমি
শুধুই বউদি দিবসে
অজস্র রাত,,,,ভিন্ন সুরে টানে প্রদীপ
ভিন্ন যুধিষ্ঠির পরিচয়ে
তোমাকে আর আমাকে।