রেনুরানীদের দেখতে যাব বলে,,,
লাল রঙের একটা শার্ট পড়লাম,,
প্যান্ট টা ছিল সবুজ বর্ণই,,
তবে পকেটের ভেতর টিস্যু পেপারে,,,
ইচ্ছেমত লিখে নিলাম তোমার নাম,,,
কারন আমার টিস্যু দিয়ে ঠোট মুছার খুবই অভ্যেস।


হাসছ বুঝি,,হাসো হাসো,,,
পায়ের জুতা জোড়া খানি,,,
ফেলে দিলাম নর্দমায়,,,,
কেন জানি মনে হচ্ছিলো আর কিছুই না হোক
অন্তত মাটির সাথে সংযুক্তি চাই আমার।


পাশ দিয়ে কতেক বাচ্চা চলে যাচ্ছিল
তাও বাল্য শিক্ষা বই বুকে নিয়ে,,,
আমি তাদের মত হেলে দুলে
ঠিক তাদের পায়ে পায়েই যাচ্ছিলাম,,তোমার বাড়ি,,,
পাশেই নন্দু কাকার দোকান ঘর ছিল দাঁড়িয়ে
দোকান ঘর অবশ্য এখন আর আগেকার মত নেই,,
সব কিছুই যেন তালামারা,,,টাকা দাও,, তালা ওপেন,,,
বিষয়টা খুব মাথায় ঢুকলো,,,,আমার!
নন্দু কাকাকে জিজ্ঞেস করলাম,,কাকা?
ফুল বিক্রি করো,,,,বলল কেন?
না এমনি,,,,মূল্য দিতে যাচ্ছি।
কিসের মূল্য,,,


সত্যি,,কি গো কিসের মূল্য দিতে যাচ্ছি আমি?
শুকনো দিন তারপর আশে পাশের জল ডুবায়
যেভাবে ব্যাঙাছিরা সামান্য জলে বেঁচে আছে,,
সেখানে নিজের মনের বর্ষা বাদল আকাঙ্খার কথা
বলাই যে হবে হিরোশিমা নাগাসাকি কান্ড!!
বাঁচবে কতক কে জানে,,মরবে বেশি।
আমার মাঝেও আমি যেতে পারি মরে!


থাক ফুল আর লাগবে না,,,
আমাকে নিয়েই আমি যাচ্ছিলাম তোমারই বাড়ি,,,,,
তোমার ছিরকুট লেখা কাগজের স্পর্শটা
তখনো আমার বুকেএ বাম পাশে।
এক কদম,, দু কদম,,তিন কদম,,,,
এই তো আর কিছু দূরেই স্বর্গের ঠিকানা!
ঠিক এমনি এক অনুভুতি আমার পায়ের নিচ হতে
মাথার উপরের শুন্য জায়গা অব্দি,,,,।


এর মাঝেই,,,,, হঠাৎ,,,এক বিকট শব্দ
হঠাৎ চোখের উপর হলুদ আভা
কানের পর্দাটা কাসার থালার মত
পাথরে পরে যাবার মত ঝন্নাৎ
এর পর শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার,,
শুধু অন্ধকার,,,,


অন্ধকার যখন আলোকিত হল,,,,
ঠিক তখন দেখলাম,,,,
আমার পাশে একটা জীবন্ত হাসপাতাল।
আমার চারপাশে শুধু হাসপাতাল,,,
নার্সরা বলল ইনজেকশন লন,,,
আমি বললাম আমি মধুমালতির বাড়ি যাচ্ছি,,,
ডাক্তার বলল,,ঔষধ খান
আমি সন্ধ্যামালতি সন্ধ্যামালতি বলে ডাকছি,,,
আমার চারপাশের হাসপাতাল বলল
শুয়ে থাকো,,শুয়ে থাকো
উঠে কভু দাঁড়ানোর চেষ্টাই করো না,,,,
বললাম কেন? রাধাচূড়ার বাড়ি যেতে হাসপাতাল কেন?
শিমুল,বকুল,হাস্নাহেনাদের কাছে যেতে
এই হাসপাতাল পথ কেন,,,?
চির কুটেতো এমন কিছুই লেখা ছিল না,,,
লেখা ছিল ঘরের মধ্যে পায়রার জন্ম হচ্ছে আমার জন্য
দিনের আলোও মনে হচ্ছে শুধু চাঁদনী আর চাঁদনী।
ফুলের জন্য ফুল চাই বলে,,আমার কাছে
চিলে দিয়ে ছিল বার্তা!
এর মাঝে হাসপাতালগণ কেন,,,?


শিশির ঝরার মত নিরুত্তর চারপাশ,,,
কোথায় যেন কিছুই হয় নি,,,,
এ কেমন হাসপাতালরে বাবা!!!!
আমি অবাক হয়ে দেখলাম তাদের
জীবিত,মৃত,অর্ধ মৃত,গলিত,ল্যাঙড়া,কানা হাসপাতাল
কিন্তু ওদের দেখতে আমার এত দেরী হল কেন,,,,,?
আরো আগেই তো
ভালবাসা ভালবাসার পরেই
বুঝে নেবার কথা ছিল,,,,,
এখন চারদিক শুধু হাসপাতাল,,আর হাসপাতাল ,,,,
প্রেম টেম,,?
কেবল এক রোগী,, এক মহারোগী।