বাসু,
কাদা মাটি দিয়ে ঘর মুছচি,,
মাটির ঘর,,,মাটি দিয়েই যে
করতে হয় পরিস্কার।
ঠিক এই সময় মনে হল,,
সামনে যে পুজো চলে এলো,,,
বাইরের পানে তাকালাম,
যতদূর চোখ যায়,,, ততদূর তাকালাম,,
না না কিছু খড় পুড়ার ধোয়া,,
পঁচা শামুকের গন্ধ আর
আলোময় কুয়াশা ছাড়া,,
আর যে কিছুই দেখতে পেলাম না।
আর কি কিছু দেখার আছে?


ঠিক এমন সময় ভেতর থেকে
কে জানি ঢাক ঢোল পিঠিয়ে বলে উঠলো,,
দেখলো দেখ৷ ভালো করে দেখ
মন ভরে দেখ,,
আর কিছু না হোক কাঁশফুলের সাদা শাড়ির পরে
বাহারি প্রজাপতির রঙটাই না হয় দেখ,,।
আমি দেখলাম,,চোখের আয়তন
বঙ্গভূমি হতে ভারতবর্ষ বানিয়ে দেখলাম  
দেখলাম চারদিকে শুধু বিস্তৃত মাঠ আর মাঠ,,
কিন্তু  মাটের আশে পাশে
কোথাও যে গুচ্ছ কাশফুল একটুও নেই,,,
আমার পাশে বসেই আমাকে না দেখে বরং
আমার চোখের সমান্তরালে বাইরের পানে
কিছু না কিছু দেখার চেষ্টা করেছিল বিড়াল,,
ঘরের বিড়াল,।না ন্স
সেও কিছু দেখতে পেলো না।
বরং রাগ করে মুখ ফেরায়ে চলে গেল অন্দরে,,
রাগ করার এও বুঝি কারন?


কি জানি তবে আমি ভাবছি
ভিন্ন কিছু,,,
হাত দিয়ে মাটি লেপামুছা করতে
গেলে যে কিছু মাটিকে আরো কাঁদা হতে হয়,,,
একেবারে তরল,,,সরল।
নিজের অবস্থানকেও ভাসিয়ে দিতে হয় জলে,,।
সুন্দর বাগানের অসুন্দর আরতি
মালির হাত ভিন্ন
আর কেইবা বুঝবে?
বুঝবে না,,ফুলদানি সজ্জিত
দালান প্রাসাদের কেউ তো বুঝবেই না,,,
তাই
আমি সেই মাটি হাতে নিয়ে নিজের অজান্তেই
বলে ফেলেছি,,,
স্বপ্নে যে গ্রাম থেকে আসো বাসু,,
শহরের পাশে বস্তির এই মেয়েটির ঘরে,,
আমি বস্তির ছাউনিতল হতেই জিজ্ঞাস
করছি তোমায়,,  
তোমার দেশের হাওর,বাওর মাঠে
কাশফুল ফোটেছে ঠাকুর।
ফুটেছেত মনভরে?


ঠিক এমন সময় মাতাল পিতার
শিবো পাদুকার শব্দ এলো কানে,,
হায়রে এখনো যে হাড়িতে দেই নি জল,,
চাল আছে তো ঘরে,,,
ভিক্ষার অন্ন বড়ই যে বেরসিক।
এই আছে এই নেই!
তবু কন্যা হয়ে রাঁধিতেই যে হবে
পিতৃদেবের তরে,,।
কিন্তু মনটা যে খুব জানতে চাচ্ছে বাসু
কাশফুল কি সত্যি ফুটেছে তোমার দেশে?