রাত,,অনেক
বাইরে কিছু অন্ধকার শিয়ালের উদ্দাম চিৎকার,,
ওরা কি ক্ষুধার্ত?
ওদের কি ভরণ পোষণের পাথর দায়িত্বের যন্ত্রণা আছে,,?
ওদের সামনেই কি বন্ধ হয়ে গেছে হাজার দরজা?
ওরা যে ধানক্ষেত মাটিতে পা দিয়ে আছে দাঁড়িয়ে,,
সেই মাটিই কি ধুলি হয়ে পড়ে যাচ্ছে,,ওদের চোখে?


ওদের  গর্ত কর্ণের সামনে কি,, ঘর,,ঘরের ছাদ
করে যাচ্ছে শুধু যোগ্য মৃত্যু আহবান,,
বার বার করজোরে মিনতী করে বলছে,,
এই বল, বল তুই কবে যাবি মৃত্যু পাড়ায়,,,
বার বার আদেশ করে বলছে,,
বল কবে যাবি মৃত্যুরে করিতে বরণ?
ওদের কি আশা হাতের পাশেই হাত
করে বেইমানী ওই ভাগ্য বিধাতার মত,,,
ওদের ঘরের বিদ্যুতের পাখায় কি শুধু
তাপ আর তাপ,,
রান্না করা  অমৃত ভাতে সাপের চোখের ভয়ার্ত নজর,,,
ওদের স্বপ্নের সমস্ত দেবতা পুস্তকের
লেখা কি মিলেমিশে হয়ে গেছে একাকার,,,
সাদা কাগজের উপর এখন শুধু
অন্ধকারের রাজত্ব বাহার।


তাই যদি হয় ওরে ভীষন ভয়ার্ত পৃথিবী,,,
তাই যদি হয়,,
তাহলে মসজিদে ম্যারাথন  আযান দে জোরে
মন্দিরে অন্তহীন প্রার্থনার মন্ত্রেই বলেই দে,,
ডাক দে এই হতভাগ্য রাত্র শিয়ালদের, আমার ঘরে।
আমার মাংস হরিন ভাণ্ডারের
এমন অনেক দুঃখের আঁধার যে পাবে মুক্তি
চলে যেতে পারলে,,,ওদের আশ্রিত পাতাল উদরে।


ওরে জমিদারি কান্নার হবে গোলামি আনন্দ
বাবু অগ্নির রূপ হবে মায়াবতী জল
বখতিয়ারের তলোয়ার জিহবায় আসবে নিমাই ফুল
তপ্ত হিটলার বালুতে সবুজের ম্যান্ডেলা সমাহার
কায়াহীন তালেবান বিশ্বে বাড়িবে আমার মানব মায়া,,,
এই রাত্র অন্ধকার যদি করে শুধু
সৎ মায়ের ঘরের
এমন পুত্র সন্তানকে একটু দয়া,,,
মৃত্যু দয়া,,,!!


করবে তো,,,এমন মৃত্যু দয়া?


#########
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস
২৮/১০/১৮