সময়ের বালুতে বেশ উর্বর,,ধারালো,,চকচকে
রক্ত খেকো তলোয়ার সিরিয়ার সুরে বলল,,
ক্ষমা চাইতে হবে তোকে,,!
মাফ চাইতে হবে,,,
মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম,,ভাবনার জন্য।


তোকে নাকে খত দিয়ে বলতে হবে
আমার মগজ কেবল আবদ্ধ বন্ধকির জন্য
আমার হৃদয় কেবল বিভাজনের জন্য
আমার প্রেম কেবল ঘৃণা করার জন্য,,
আমার ভালবাসা কেবল,,,অচ্যুতি ভাবের জন্য
আমার জীবন কেবল,,সমতা নয় ব্যবধানের জন্য।


ওমনি হুরহুর করে,,,
এতদিনের সাদা দেয়ালের রঙ
ঠস ঠস করে গেলো খসে,,
ভেতর থেকে বের হলো
কালো অন্ধকারের মত,,, এক আধুনিক অন্ধকার,,,।
যে অন্ধকারের পাশে নত শিরে দাঁড়িয়ে
মাফ চাইলো  সবুজ,, সতেজ গল্পের দোয়েলি দেশ।
মাফ চাইলো উদারতা,মাফ চাইল অসাম্প্রদায়িকতা
মাফ চাইলো জল,,,নালার আবদারে।


আর তাই,,,হ্যা গো হ্যা তাই,,
চারদিকে উন্মাদের মত পতঙ্গ খেলো পাখি ধরে।
তেলাপোকার পায়ে ধরে মাফ চাইল গৃহকর্তী,,।
বিড়ালের ছানার মুখে
বাঘের খাবার তুলে দিল জননী সিংহী।


কিন্তু টিভিতে,,ওই ওই রঙ্গিন টিভিতে
তখনো খবর এলো না,,
গিরগিটি পত্রিকায় তখনো জানানো হল না,,
পতঙ্গে পতঙ্গে ভরে গেছে দেশ
তেলাপোকায় তেলাপোকায় নাচিছে স্বদেশ
বিড়ালের ছানার পায়ের নিচে,,
চাপা পড়েছে,,পড়েছে চাপা
বাঙালি সিংহের,,, বাঙালি কেশ।


জানানো হল শুধু,,,ভক্তের ভক্তিতে
হাতে উঠেছে আফগানি তলোয়ার,,দুষ্টুমি করে।
ওরে তোরা কে কোথায় আছিস,,
এমন বরিষণ বরষের দিবসে!
মাছের উপর শাক ঢেলে,,,,মুচকি হাসিতে
দুষ্টু বল তারে,,,গাল টিপে দে
আদরের হাতেতে।।


কেবল ক্ষমা চাওয়া মানচিত্রের
কঙ্কালখানি
পড়ে থাক লোক চক্ষুর আড়ালে,,,!