আজ একটা লিখিত অখ্যাত শ্রুত চিঠিতে
তোমাকেই হ্যা তোমাকেই
অব্যক্ত ভাষায় বিখ্যাত সমুদ্র কথা জানাতে চাই,,,।
শুনবে তো,তাহলে যেনতেন করে হলেও শুনো
বাতি জ্বালাতে হবে না
তবে অগ্নি হীন প্রদীপটার পাশে বসেই শুনো
পাশ দিয়ে নালা বয়ে গেলেও
আতর ছিটানোর দরকার নেই
শুধু শুনে যাও।
গন্ধরাজের বাগানে আতর জ্বালিয়ে
কিই বা করবে?


অনেক বারই তোমার হীরক কুকরের সাথে,,
আমার স্বর্ণ কুকুরীর দেখা হয়েছে,,
এই তো সেদিন নবনীতা দিদির
যেদিন বিয়ে হলো সেদিনও দেখা হয়েছে,,,
পাশ দিয়ে অনেক ফুলের মালা বহন কারী
ব্রহ্ম কোটি ট্রাক চলে গেল
তখনো তোমার মনোহর কুকুর নিশ্চুপ।


দেখা হয়েছে পরিনীতি বোদির গর্ভকালের দিন,,
রাত ভর পরিনীতির চিৎকার শুনে
তোমার অসুস্থ কুকুরের সামনেই
আমার সুস্থ কুকুরী করেছে জন্ম মৃত্যু ছটফট,,
তখনো পৃথিবী নিশ্চুপ,অন্ধ; গান্ধারী অন্ধ।


যেদিন দাস বাড়ীর মনমোহিনী ঠাকুরমা
চলে গেলেন শেষ শ্মশানে,,
ঠিক সেদিনও বেদনাময়ী কুকুরীর সাথে
একেবারেই শেষ দেখা হলো,,
তোমার রসিক কুকুরের,,।
ভাদ্র মাস,,চারদিক তালপাকার গন্ধ,,
আকাশ ভরা বৃষ্টি,,,
কিন্তু না,,বসন্ত তখনো অনেক দূর
অনেক,অনেক মহাবিশ্বের অপারে,,
তবে এর মাঝেই ধপ করে এক বজ্রপাত,,,
চলে এলো এপারে!
ঈশ্বরের হাতের ঐশ্বরিক আশীর্বাদ বজ্রপাত।
যন্ত্রনা হতে মুক্তির চিরন্তন সামাজিক বজ্রপাত।
যে বজ্রপাতে কুকুরীর ছিন্নভিন্ন হওয়া মন থেকে
বিচ্ছিন্ন করা হলো দেহ।
তারপরেও নীলাভ ছাই দেহটা থেকেই
ছিটকে বের হল ঈশ্বরের নগ্ন চেতনার লাল রক্ত।
পিচঢালা কালো পথের উপর
কুকুরীর লাল রক্ত।


জানি এ রক্ত কভু মাটির স্বাদ পাবে না,,,
পায় না!
তবে সেখানেই জন্ম নিলো,,
সনাতন ধারায় আধুনিক কলমের মত
একটি সবুজ ডাটা,,,
যার অগ্রভাগে লাল কালির মত
একটি লাল ফুল,,,।
চেনাজানা নামহীন এক লাল ফুল,,!


সেই ফুলের প্রেম ভাষা দিয়েই
তোমাকে আজ অদম্য ঢেউ কালীতে লিখলাম,,,
প্রাণভরে লিখলাম
ব্যক্ত কথার এক অব্যক্ত চিঠি,,,
বুঝে নিতে পারবে তো।
তবু বলছি,বুঝে নিও,,
নিও বুঝে,!!!!
নিও বুঝে।
অপারের চিঠি এপার
কভু কি বুঝে?
অব্যক্ত চিঠির ব্যক্ত ব্যথা
কেই বা বুঝে?