আমার পরাণ যাহা চায়,,,
তুমি তাই,, তুমি তাই,,,
তুলসী তলে দাঁড়িয়েও তা বলার দিন
আর নেই যে গুরু,
বললেও বিশ্বাস করে না লোক।
বলে বাজারের রঙিন ছাদের নিচে
ফরমালিন দেওয়া মাছও
তরতাজা বলে নাকি বিক্রি করা হয় আনন্দতে।
কোনটা কাগজের লোহা ফুল আর
কোনটা বাগানের শুদ্ধ  ফুল তা নাকি
না ধরে বুঝার কোন,,, বিশুদ্ধ উপায়ই নেই,,জগতে।
তাই মাছ কেটে খেয়ে,, যদি না মরে লোক
তাহলে মাছ সত্যি মাছ ছিল তা হবে প্রমাণ,,
ফুল হাতে নিয়ে যদি দেখা যায়,, নাকে নাকে
তাহলে ফুল নাকি হবে ফুল,,,।
চিঠি বুকের উপর রাখি,,পড়ি পড়ি যদি বুঝা যায়,,,
বিষ মাখা ছিল না বুক কাঁপা কাগজে
তাহলে চিঠি নাকি হবে চিঠি,,,প্রেমের তালে।


গুরু,,বলেন তো এমন পাথরের কালে
জলের কালিতে কীভাবে কি আর বলি।
কীভাবে বলি,,সেই মেয়েটির পাশে বসে
মদন রসে ঢলে ঢলে
হ্যা গো তুমি সত্যি সুন্দর,,,সুন্দরের কল্লোলে।
সুন্দর নাকি সুন্দর করে পুঁড়ে গেছে গুরু
অন্দরে অন্দরে
রাজ্যও নাকি তার ,,নিয়ে নিল দখল
গাছ ভাঙ্গা উচ্ছৃঙ্খল বান্দরে।
আর তাই অভিসার বলে সার হীন প্রেমের
ছড়াছড়িতে অতিষ্ঠ জনপদে আজ
কেবল পাপের ভয়,,
সে পাপ আজ সত্যকে সত্য রূপে মেনে নেবার
সে পাপ আজ পবিত্রকে পবিত্র বলে স্বীকার করার।
সে পাপ আজ ভালবাসাকে ভালবাসা বলে
স্বীকৃতি  দেবার।।
সে পাপ আজ,,পাগলা হাওয়ার দিনে বাদলের কাছে
নিজেকে বিলিয়ে দেবার।


কিন্তু কেন গুরু,,বাদল ভেজা বসন তো
সেদিনও ছিল,,,
মেঘে ছোঁয়া চাঁদও তো ছিল
ছিল তো ফুলে ফুলে ভ্রমরের নিত্য লীলা।
তাহলে কেন দোষ কেবল একালে,,?


ঠিক তখনি গুরুবানী হল আকাশে
ওরে মূর্খ,,ওরে অধম
দোষকে যে দোষ বলে বসে থাকে
দোষের ডালে
সে জানবে কীভাবে,,
কয়লা কেবল ময়লা নয়,,
পুড়িয়া দেখ না তারে,,সঁপিয়া অনলে।
অনল শুধু শ্মশানে নয়,,
সেও যে রয় উনুনে।।