তখন ফেরিওয়ালা ফেরি করে বেড়াচ্ছিলো,,,কয়েকটি দেশি আম।
গাছ হতে আম পড়ার মত
মাঠে ধপাস করে পড়ে গেল ছেলেটি,,,
যেন স্বর্গ মর্ত্য সহ পুরো বিশ্বটাই উঠলো কেঁপে,,,
হাজার ত্রিশেক ভুমিকম্প এক সাথে দিয়েছে পুরো বাংলা নেড়ে!
ওমনি আমের ঝুড়ির সমস্ত সুস্বাদু আম
হয়ে গেল ঠক,,,,
ফেরিওয়ালা বলল,,না না না,,
এ আম কেউ খাবে না
এ আম যে পোকায় খাওয়া আম,,


বাইরে তখনো ব্যান্ড পার্টির বাজনায় মিলনের সুর,,মঞ্চে এই মাত্র উপবৃষ্ট প্রেমিক বর,,,
ঠিক তখনি কনে ছিড়ে ফেলল হাতের মালা খানি,,,
বলল,,এ বিয়ে হবে না,,,
ভুমিকম্পে শায়িত দেশের উপর দাঁড়িয়ে,,
আমি যাব কার ঘরে?


সন্তানের মুখে তখন গুজে দিচ্ছিল স্তন
সদ্য প্রসব জাত বাচ্চার মুখে।
রুখে দিল তা,,হ্যা হ্যা রুখে দিল,,,,
বলল ছেলেটি যখন শুয়ে পড়েছে মাঠে এভাবে
তাহলে কোন দুগ্ধ স্তনে আনার নেই কারো তরে।


হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে,,,
যেই শুনলো ছেলেটি পড়ে গেছে মাটির পরে
অশীতিপর হাত থেকে খোলে নিলো
স্যালাইনের নল খানি।
অস্ফুট স্বরে বেধড়ক ঢোলের মত বলল
কি আর হবে বেঁচে থেকে।


শ্মশান ঘাটে পুত্রের কাঁধে চড়ে যাচ্ছিল লাশ পিতার
কিন্তু একি হঠাৎ যেন মড়া শাখে ফিরে এলো প্রাণ,,
বলল,, ছেলেটি যখন শুয়েই পড়েছে মাঠে,,
না পুত্র আমি যাব না শ্মশানে,,,
আমাকে ফেলে দিয়ে যা
এখানে সেখানে যেকোন খানে।


কিন্তু ছেলেটি জানলই না,,,নাকি জেনেছে?
সে যখন উঠে দাঁড়ালো মাঠে,,
ঠিক তখনি কলাগাছের মোছায় প্রতিটা ফুল গর্ভবতী।
উঠে দাঁড়ালো বাংলাদেশ,,, তার সাথে,,
সমস্ত অভিমান যেন,, আশীর্বাদের মেট্রো রেল।
যে শিশুটিও ভুলে গিয়েছিলো পতাকা বেঁচিতে
রাস্তার মোড়ে মোড়ে,,
সেই প্রথম চিৎকার করে বলিল,,
ওই দেখ বাংলাদেশ দেখা যায়
পতাকা দেখা যায়
মাশরাফি মোর্তজার নামে।