বাজারের কমলার মত আমার ঠোটখানি
কেমন লাগে তোমার,,,,?
একটা হরিণী যখন শিকারের কবলে পড়ে
তখন হরিণীর ঠিক এই প্রশ্নটা
মনে জাগে কিনা জানি না,,,,,,
তবে আমার আজ জানতে খুব ইচ্ছে।
ভালো লাগে,,,?রসের শেষ হয় সেথায়,,,?
নাকি চুষতে চুষতেই তোমার মনে
জন্ম নেয় রস আর রস,,,,
আমি নারী আমার জিহবায় যত না রস
আমার ঠোটে যত না রস,,,
তার চেয়ে বেশি আমার নামেই,,আমার পরিচয়েই,,,
তাই না?


আমি জন্ম নেবার সাথে সাথেই
যে বৃক্ষ রোপিত হয়েছিল,,
সে বৃক্ষের মাথার উপরেই বজ্রপাতের
ভীষণ কর্মচঞ্চলতা,,
কেন জানি সেদিন হতেই বৃক্ষটি রস হীন, জল হীন
হতে হতে মৃত প্রায়,,,
ফুলদানিতে রাখা ফুল,,জল না দিলেও
সুগন্ধি ছড়ায়,,,শুকানোর আশায়!
এই আশায় আশায় বৃক্ষটির চারদিকে
বেড়ে যাচ্ছে কুয়াশার জল
আকাশের মেঘের  জল
পাতালের মাঝে পাথরঢাকা জল।
এত ধরনের এত জল থাকার পরেও
বৃক্ষটিকে
শুধু বাঁচিয়ে রাখার জন্যই
বাঁচিয়ে রেখেছেন ঈশ্বর,,
নতুবা কবেই


এ যে ঈশ্বরের এক মহান দয়া,,!
নারীর প্রতি সবার দয়ার মতই
এক দয়া,,,,
এক আচানক দয়া।


যে দয়ার মূল্য দিতে হয়,,,
সকাল হতে রাত অব্দি ফল আর ফল দিয়ে!
শুধু কি ফল,,?
নিজেকেও সাজিয়ে রাখতে হয় ফুলে ফুলে।
যে ফুল ভর্তি থাকবে শুধু
মধু আর মধুতে!
নতুবা উপবাসী ভ্রমরের,
মৃত্যু দোষের দায় ও যে নিতে হবে তাকে,৷
কলংকিনী গাছের উপর যদি
একবার মৃত্যু দোষের নাম পড়ে যায়- ডাইনী,,,
তাহলে শুন্যলতায় প্যাছিয়ে মরেও
তার মৃত্যু হবে না।
আত্মহত্যা করলেও আত্মহত্যা হবে না।
এ ডাইনি বৃক্ষ,, না লাগবে শ্মশানে,
না লাগবে মন্দিরে,,,,
না যাবে উই পোকার মুখে,,,
যদিও রাতের অন্ধকারের তেতুল গাছের দামও
আম গাছের সমতুল্য তবু
এমন ডাইনী বৃক্ষের ছাইও যে
হয় না ছাই।


তাই জিজ্ঞাসা করছি তোমায় হে পুরুষ
আমার ঠোটের চুষিত রস
তোমায় অতৃপ্ত রসনা তৃপ্ত করলো তো,,,!
যদি না করে,,,
তাহলে দেখ আমার কপালের উপরে
একটি সর্প অংকিত ভাজ আছে
তাকেই তোমার ভর্ৎসনার স্পর্শে
জীবিত করে দাও,,,,


ঈশ্বরের দয়া আর তোমাদের দয়া
এক হোক,,,
তৃপ্ত করার সকল প্রাগৈতিহাসিক নমুনা,,,,
আর তোমাদের অতৃপ্তের ভর্ৎসনা
এক হোক,,
এভাবেই এক হোক,,,।
আবারো এক হোক,,,,,।


দয়াখানি এক হোক,,,,!!!!