কেন জানি এক বালক ঘুম থেকে উঠেই
অজানা ভাষায়, শিশু স্বরে,,জিজ্ঞাস করল
এক কল্প সাধুরে,,,!!
আচ্ছা সাধু আমি যখন,,বাবা বাবা বলে কাঁদি,,
ঘরের মধ্যে না দেখলে বাবা
অস্থির হয়ে যাই বাবারই জন্য
চোখের জলে ভাসিয়ে দেই সব
তখন বাবা দৌড়ে আসেন সত্য।
সত্যি দৌড়ে আসেন একেবারে পাগলের মত।
মনে হয় তখন বাবার সমস্ত কর্মই হয় অকর্ম
বাবার পাশের ব্যস্ত ঘড়িটাও,, বিরক্তির জাহাজ
বাবার পাশের সিনেমা হলটাও বড্ড একঘেয়ে
বাবার চারপাশে যে বাতিগুলি করে চকমক
তাও যেন বাবার কাছে লাগে অন্ধকার।
সাধু কিন্তু আমি ভেবে পাই না
বাবা আমার এমন কান্না শুনে,,,
চোখের জলেও খুশী হন কেন?
আত্ম তৃপ্তের সুরে কেন খুশি হোন বাবা
আমার বাবা শব্দের কান্নায়
কেন সাধু,,,কেন?
এর কি কোন জবাব তোমার কাছে আছে?
আচ্ছা তোমার কাছে কি কোন বিড়ালের ছবি আছে
যে ছবিতে,, মা বিড়াল তার ছানাকে খাওয়াচ্ছে দুধ
পরম শান্তিতে ডুব দিয়ে,,
এমন কি কোন হরিনীর ছবি আছে
যেখানে মা হরিনী,,সন্তান মুখের মা শব্দে শব্দে
ভেসে বেড়াচ্ছে স্বর্গে,,,।
হয়ত আছে সাধু,,হয়ত নেই।
উত্তরতো আর তুমি দিবে না,,,,!"


তবে আমার এখানে কিন্তু তারা আছে,,,,,
আমার এখানে আমার মা ই হয়ে আছে
একটি জননী বিড়াল,,,
হয়ে আছে একটি জননী হরিনী,,,!!
যার তালে তালে, লয়ে লয়ে
আমার বাবা,, পাচ্ছে পিতৃত্ব সুখ
আমার হাসিতে,,আমার খুশিতে,,আমার কান্নায়
এমনকি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃখে।


সাধু,,আমার পাশে আমি
পাখির বাসা দেখতে পাচ্ছি,,,
দেখতে পাচ্ছি দু তিনটে ছানার মুখে
নিজের মুখ হতে উগলে দিচ্ছে খাবার মা পাখি,,,
সাধু বলো না,, বল,,
খাবার উগলে দেবার সুখটা কেমন?
ওই দেখ পাশে দাঁড়িয়ে আছে
আরেকটি পুরুষ পাখি,,
পাহারা দিচ্ছে শাবক গুলিকে
ডানা মেলে ছায়া দিচ্ছে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে,,,।
রোদের তাপ,বৃষ্টির অত্যাচার সহে সহে
এমন ছায়া দেবার আনন্দটা কি সাধু?
আমাকে বলবে কি এমন ছায়া দেবার তৃপ্তিটা কী,,


বালকের কথা শুনে,,নিশ্চুপ সাধু
আরো হলেন বোবা,,আরো হলেন বধির।
তবে মনে মনে বললেন,,,এর জবাব,,,
মা বাবা ছাড়ারে শিশু
কেউ,,,কেউই যে জানে না,,,জানে না
পিতৃত্বের কী ভাব?
মাতৃত্বের কী ভাব?