শিব,,যদি অনুরোধ করি
খুব কাতর হয়ে,,
তাহলে কি এবার তোমার ধ্যান ভাঙ্গবে?
একবার কেবল একবার চোখ মেলে
তাকাতে পারবে কি,,,নীলে নীল এই পৃথিবীতে?
না না,, বেশি দূর দেখা লাগবে না,,
ওই যে হিমালয়,,তার কাছাকাছি যে ভারতভূমি
যাকে লোকে ভারত বর্ষ বলে
সেথায় কি রাখবে একটু নজর?
দেখ না,, কত বিষ জমা হয়ে আছে বাতাসে
দেখ না কত বিষ জমা হয়ে আছে নানান পথের
নানান বাঁকে বাঁকে,,
কত বিষ জমা হয়ে আছে ভাতের হাড়ি হতে
মানুষের পকেটে পকেটে,,,
কত যে বিষ শিব,,,কি আর বলব,,
গুনে গুনে তার শেষই হয় না,,,
যে বিষ ঘরের কোনে দেখি এক রুপে
সেই বিষই ধরে ভিন্ন রূপ বাইরের নানান স্তপে।


শিব বিষ আজ কথা বলে রাণীর মত,,,রাজ্য শাসনে
বিষ আজ তুলসীর তলায় লাগায় দাবানল
সেজে পূজারী,,, পুজার মত,,।
বিষ দোকানে,বিষ রাজনীতির ময়দানে
বিষ ভাষনে,,বিষ তোষণে,,বিষ সর্বময়।
বিষ আজ জ্ঞান নামের জ্ঞানময়৷  
শিব বিষ আজ  মানুষে বিশ্বাস বলে খায়,,
অন্ধত্ব হবার শখে সর্বক্ষণ তুলে রাখে মাথায়
বিষ আজ,,,মন্দের ঘরে পা রেখে
শুয়ে আছে ভালোর আঙ্গিনায়।


বিশ্বাস করছ না শিব,,
বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা,,,
তাহলে আসো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জানাজার
প্রতি জনের,,প্রতি মনে মনে
নোয়াখালি হতে সাতক্ষীরার শাঁখা সিঁদুর ভাঙ্গনে
পালমোরের সাঁধুর প্রাণ,, সন্ত্রাসীদের হর্ষিত হরণে,,
টিকিয়াপাড়ার খরগোস আত্মা পুলিশের
প্রহার হজম করা রোদনে
আসো অসহায় ফাতেমার,,, গৃহবন্দি দাসীত্ব জীবনে,,
আসো,,ওই রহিম নামের বালকের মাদ্রাসায়
উলঙ্গ যৌন অত্যাচার সহন ভুবনে,
শিব আসো,,একবার হলেও আস,,
রাম-রহিম-সিং নামক গর্ভপাত ভুবনে,,।
তাহলেই জেনে যাবে শিব,,তাহলেই জেনে যাবে
বিষের স্রোতে বিষময় হয়ে যাচ্ছে অমৃত
অন্ধকারের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে আলোর ঠিকানা,,
এসব কি তুমি জানবে না শিব,,
এসব বিষ কি তুমি দেখবে না,,
এসব বিষ হতে রক্ষা কি করবে না,,,জগতের প্রাণ?
চুপ করে বসেই কি থাকবে আপন আসনে
নেশাময় জীবনে ধ্যানের নাম লয়ে,,
পাশে কি বসিয়েই রেখে দেখে,,শক্তিরুপিনী মহামায়
নিশক্তি করে,,,?
চোখ বন্ধ করে এড়িয়েই কি যাবে শিব
এড়িয়েই কি যাবে,,,এই ভুবনে?


তাহলে শুনো শিব,,
কাল যদি তোমার মেয়ে লক্ষ্মী গুদামঘরে বসেই
শিকার হয় লাভ সন্ত্রাসের
তোমার আরেক মেয়ে সরস্বতীর যদি লাশ মিলে
পাঠশালা কিবা পাঠশালা নামক বন জঙ্গলে,,
তোমার ছেলে গনেশ কে
সাধু ভেবে পিঠিয়ে মেরে ফেলে দেয় অন্ধ জনতা,,।
তোমার সুদর্শন ছেলে কার্তিক বেকারত্বের অভিশাপে
আত্মহত্যা করে তোমার সম্মুখে।
তখনও কি ধ্যানে থাকবে শিব,,
তখনো কি ক্রোধে, ক্রন্দনে ত্রিনয়ন হতে
বের হবে না সামান্য মদন ভস্মের অনল  ?


যদি তাই না হয় তাহলে চল
তোমাকে বসিয়ে দিচ্ছি
ভাইরাস হুজুরের রাতভর নারীমাংসময় বয়ানে,,
চল তোমাকে রাজনৈতিক নেতার ঘর দেয়ালে
আবদ্ধ করে দিচ্ছি সাধারণ জনতা করে,,
আস,তোমাকে বেঁধে দিচ্ছি সেই ছেলেটির পিঠে
যাকে পিঠিয়ে মেরেছে উন্মুক্ত বিষের দল
সামান্য রুটি চুরির অপবাদে,,,
চল তোমাকে সেই মেয়ের বুকে বেঁধে দেই আদরে আদরে
যে চৌদ্দ বছর ধরে ধর্ষিত হয়ে আসছে,,ঘর সংসারে
আপন জনে জনে,,
চল শিব চল, তোমাকে রেখে দেই সেই নারীর শাড়ির আঁচলে,,
যে জীবনে রান্নাঘর ব্যাতিত বারান্দা দেখেন নি চোখ মেলে,,
পারবে কি সেথায়,,শিব
ঠিক ধ্যানের মত স্থবির হয়ে থাকতে,,আপন পথে।
পারবে কি মুখে তালা মেরে রাখতে,,,ইচ্ছে করে
চোখের পর্দায় পাথর বসিয়ে রাখতে,,, হেসে হেসে
পারবে কি কন্ঠ রোধ করে রাখতে,,,নত শিরে?


যদি না পার,,না পারো এসব সইতে
তাহলে আবার কি বিষ পান করবে শিব,
আবার কি চুষে নিবে ভবের সব গরল,,
গরল পানে পানে
আবার কি নাম নিবে শিব,,,
আবার কি নাম নিবে শিব
নাম নিবে কেবল নীলকন্ঠ,,
কেবল নীলকন্ঠ,,
বিষের প্লাবনে ধরণী যে অতিষ্ঠ শিব,,অতিষ্ঠ!!
বিষ,,বিষ,,সকল বিষ পান করে,,,
আবার,,কি হবে,,তুষ্ট শিব
আবার কি হবে তুষ্ট
জগতের কল্যানে,, বিষ পান করা,,
নীলকন্ঠ তুষ্ট!!
হবে কি?