ঘরের হাড়িতে ভাত ছিল না,,
কলসীর বুকে তেমন কোন জল ছিল না,,,
আকাশের মেঘগুলিও চালার উপর দিয়ে যেতে
পাচ্ছিলো ভয়,,,!
বাতাসের সাথে গরম,, তেল গরম উষ্ণতা ছাড়া
সামান্যতম শীতলতা ছিল না,,
ফুলের বাগানে ভ্রমর ছিল,কিন্তু মালি ছিল না,,
তাই বলে গ্রাম ছেড়ে দিবে?
কি গো গ্রাম ছাড়লেই কি,,
শহরের রাস্তার উপরেই ভাত পাওয়া যায়?
ফুটপাতের ইটের উপরেই জন্ম নেয় ধান গাছের পাতা?
নাকি শহরের বাতাসের ছোঁয়া পেয়েই
বিলুপ্ত হয়ে যায় পেটের দাউ দাউ আগুন,,।
মুক্তি পেয়ে যায় সকল দু:খের বন্ধন,,
আর যে পথ দিয়ে হেটে যাও
সে পথে থাকে শুধু ফুল,বিল্ব আর চন্দন,,?


কতটা ফুল পেলে পথে পথে?
যে পথ টা তোমার গ্রামের
অর্ধ্ব ভাঙ্গা দুয়ার খানি ছুয়ে ছুয়ে
চলে গেছে অসীম সীমানায়,,,
সে পথটা যে এই পথ নয়,,
তা এত দিনে জেনে গেছ নিশ্চয়ই,,,
কতটা মূল্য দিয়ে জেনেছ এই বাস্তব সত্য খানি? কতটা দেহ দিয়ে জেনেছ
শহরে নানান রকম বাতির আড়ালে
এক বাতি জ্বলে,,, বীভৎস বাতি।
কতটা চোখের জল দিয়ে জেনেছ সত্য,,
মানুষের দেহেও থাকে হাজার রকম পশু,,,
ভয়ংকর জীবিত পশু,,।
যে পশুতে তোমার ক্ষুধার্ত উদরও
তার কাছে এক ভোগ্য খাদ্য,,
তোমার চোখের জল
তার পিপাসা নিবারণের অমৃত।
তোমার অজস্র বেদনা তার সুখ,,
তার কামনা, তার বাসনা,তার উদ্দীপনা,,!!


আমি জানি, হ্যা আমি জানি
সে উদ্দীপনার মাঝেই তুমি বার বার ভেবেছ,,,
মেঘের ছায়ায়,,ছায়া খোঁজে খোঁজে!!
হাতের চুড়ি গুলি ভেঙেও যদি
শুকনো নদীর বুকে জমে যায় সামান্য জল,,
মরা গাছের ডালে চলে আসে কিছু পত্র পল্লব,,
একমুটো ভাত যায় ছোট ভাইটির থালায়,,
কিছু অগ্নি জ্বলে উঠে মায়ের হাতে বানানু উনুনে
এক খন্ড কাপড় যায় বোনের গায়ে,,
বাবার হাতের লাটিটি হয় আরেকটু শক্ত
কিন্তু না,,,না
শক্ত কিছুই হয় নি অভাগী,,কিছুই হয়নি,,,
বরং যে কাদা মাটির পথ দিয়ে পার হয়েছিলে গ্রামের সীমানা,,,
সেই সীমানাটাই হয়েছে আরো শক্ত,,
আরো সুউচ্চ প্রাচীর,,
যা কোনদিনও পার হতে পারবি না,,
কোন দিন না,,,


একমুঠো ভাতের আশা
করলো তোর এমন সর্বানাশা।