একটা ছবি,,,
হাতে হাতে উঁচিয়ে ধরছে জনতা,,,
যে আছে ঘুমিয়ে এখনো মায়ের গর্ভের
সর্বোচ্চ নিরাপত্তায়,,
তার হাতে, মুখে বুকে প্রাণেও সে ছবি,,
বাতাসের প্রতি কনায় কনায় মিশিয়ে সে ছবি
শ্বাস নিচ্ছে বাতাস,,,
পাহাড়ের চুঁড়ায় চুঁড়ায় বসিয়ে সে ছবি
স্থির চিত্তে দাঁড়িয়ে আছে প্রজন্ম হতে প্রজন্ম,,,
যে নদী শুকিয়ে গিয়েছে শত বছর আগে,,
সেও আজ জীবিত,, ছবিটা বুকে ধরে ,,!


ছবিটা হাটতে পারে না তবে হাটায়,,
ছবিটা কথা বলতে পারে না,,তবে কথা বলায়,,
ছবিটা যুদ্ধ করতে পারে না,,তবে যুদ্ধ করায়,,
ছবিটা দাবী করতে জানে না,,তবে দাবী শিখায়,,
ছবিটা চোখে দেখতে পারে না,, তবে চোখে দেখায়,,,
দেখায় সমস্ত অগ্নি হতে জন্ম নেওয়া নব প্রাণ
দেখায় লোহার শিকলে আবদ্ধ জগতের
কোথায় কোথায় আছে মুক্তির গান,,,।
যে গানে গানে ছবিটা নিয়েই  আজ এত হট্টগোল,,
এত আলোচনা,এত শপথ,এত বিপথ,,!
এত কামনা এত বাসনা,,এত উন্মাদনা,,,!


এর মাঝেই কোন যবন উঠল বলে,,
ছবিটি পুঁড়ে ফেল,,
ডুবিয়ে ফেল ডুবোজাহাজের ভেতরে
বন্দি করে প্রতিটি মহাসাগরে,,,,
লিখে দাও মহাসাগরের বুকে "ছবিটা নিষিদ্ধ",,
ছবিটার বিরুদ্ধে এক হাজার কোটি কারফিউ,,,
লিখে দাও ছবিটার বিপক্ষে জগতের সমস্ত বুলেট,,,
লিখে দাও, দাও লিখে
ছবিটা নিষিদ্ধ ভারত বর্ষের আশ্রম হতে
চন্দ্র, মঙ্গল যেকোন গ্রহে উপগ্রহে,,,
ছবিটা নিষিদ্ধ,, হ্যা হ্যা নিষিদ্ধ,,ম্যান্ডেলা হতে সূচী,
বঙ্গবন্ধু হতে আজকের উন্মুক্ত ব্লগে,,,!!!
ছবিটা নিষিদ্ধ আরব স্রোতের
যে কোন নারী জীবনে,,,!!


ঠিক তখনি ভৈরবী গর্জন শুনলাম চারদিকে,,
কেয়ামতের আগে স্বইচ্ছায় যাচ্ছে ধরনী
নিশ্চিহ্নের দুয়ারে,,,
যেন ঘুম ভেঙ্গে গেল নটরাজ শিবের,,,
রাধাও যেন কৃষ্ণ পরশ ভুলে,, হাতে নিয়েছে
সুদর্শন চক্র,,
চিতা হতে উঠে এসেছে লাশ, কবর থেকে খবর,,
অপারশনের থিয়েটার ছেড়ে উঠে এসেছে রোগী,,,
প্রসব করতে করতে গর্ভবতী মাতা
এসেছে প্রবল হুংকারে,,,
মুখের ঘাস,,ঘাসের বুকেই ফেলে দিয়ে
ষাড় করেছে রক্তচক্ষু লাল,,,
সাপুড়ের বক্স ভেঙ্গে বীন নিয়ে এসেছে সকল নাগ,,
এসেছে জল্লাদ,এসেছে খুনি, এসেছে পাপী,
এসেছে নিষ্পাপী,,,
এসেছে যে এখনো বাঁচতে শিখেনি,,
এসেছে যে শিখেছে বাঁচতে,,
এসেছে সে,এসেছি আমি,এসেছ তুমি
যাদের মুখে কোন কথা নেই,,,কোন স্লোগান নেই,,
নেই কোন প্ল্যাকার্ড পেস্টুন,,।
যাদের হাতে কোন অস্ত্র নেই,,যাদের কোন নেতা নেই,,
নেই নেই নেই নেই,বলতে কিচ্ছুই নেই,,,
আছে শুধু একটা ছবি,,


ওরে সবে মিলে সে ছবি তুলেছে শুন্যে,,
ওরে আকাশ কোথায়, বাতাস কোথায়,
কোথায় দশদিক কোথায় কোন মহাসাগর,,,
সব মিলে একাকার এই দেবপুত্রের ছবিতে।
ছন্দ লয়ে উঠেছে যে ছবির পদধ্বনিতে
শুধু একটি রব,,,একটি মন্ত্র,,!!
গায়ত্রী করে,কলেমা করে পাঠ করছে যা সবে
পাঠ করছে জন্ম হতে মৃত্যুর ঠিকানাতে,,
তুমি আমাকে স্বাধীনতা দিতে এসেছ
আমি এসেছি রক্ত দিতে,,,!!
নেতাজি তুমি আমায় শিখিয়েছ
জয় হিন্দ বলিতে,,
তাই মৃত বৃক্ষেও নিয়ে এসে পল্লব
বাঁশের ডগায় দাঁড়িয়ে বলছি,
বলছি পতাকার সাথে পাল্লা দিয়ে ফত ফত সুরে,,
জয় হিন্দ,,,,,,জয় হিন্দ,,,,,,,,জয় হিন্দ
জয় হিন্দ,,,,,,,,,,জয় হিন্দ,,,,,,,জয় হিন্দ
জয়,,,,,,,,,,,,,,হিন্দ
জয়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,হিন্দ
জ,য়,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,হিন্দ