বাইরে কিছু দমকা হাওয়া বেশ
সদল বলে  শুকনো ঝরা পাতা উড়িয়ে উড়িয়ে
এখানে পৌছতে চায়,,,
কিন্তু আমি পৌছতে দিলে তো।
এখানকার যে সমস্ত দরজা জ্বানালা
খুব শক্ত করে বন্ধ করে রেখেছি,,,,
ঈশ্বর বিনা মানুষেরো কোন শক্তি নেই,,,
এই দুয়ার ভাঙ্গার।


কেন ভাঙ্গবে,,,
আমি যে ঘরে ঠাকুরের আসনের সামনে,,
এক পুড়ে যাওয়া সলিতায় তেল ঢেলে
প্রদীপ জ্বালাতে যাচ্ছি,,
জীবনের আলো যতটা কম,,,
ঠিক তার চেয়ে বেশি আলো এই সলিতায় প্রদীপে,,,
আমি ঈশ্বরকে কথা দিয়েছি,,,,
পাশের বাড়িতে যতই বাদ্য বাজনা সানাই বাজুক,,,
মালা কিন্তু আমি তার গলাতেই পড়াব,,,
জানি লোকে আমাকে পাগল বলবে,,
আমার নামে কোন পশু পাখির নাম রেখে দিয়ে অট্টহাসিতে হাসবে,,
তবু আমি তাকে বলছি,,,
আমার স্বপ্ন,কল্পনা,আর বিলাসে
তুমিই আমার কল্পনার সেতু।


সেতু চেন?
ওই যে এপাড়ের সাথে ও পাড় দেয় মিলিয়ে,,,।
কয়দিন পরেই আমার নাকি মরণ হবে
সংসারের সংবিধানে!!
ডাক্তারের মহাডিগ্রীধারী বিদ্যার শ্রাদ্ধ হবে
আমার বিলুপ্তির যজ্ঞে।
তাই এমন একটা সেতুর লোভ,৷
হা হা হা,,,
হাসি পাচ্ছে তাই না?
আমিও হাসছি তোমাদের সাথে আর ভাবছি
সত্যি কি আমি মারা যাব?


সত্যি কি নারী কভু মারা যায়?
জীবনের স্বাদই যেখানে পেলাম না,,,
পাতা গজানো হতে শাখায় কলির গন্ধি অব্দি
এক শাসন,এক নিষেধ বারণ দেখতে দেখতে ক্লান্ত,,,
সেখানে মরণ আবার কী?
বাইর হতে বাতাসের বেগে একটা দুটা
ভ্রমর বার বার হয়ত দুয়ার হতে যাবে ফিরে,,,
চৌধুরী পাড়ার ছেলে গুলির একের পর এক
বাসর রাতের ফুল হয়ত হবে কেনা,,,
নিম গাছের তলে দাঁড়িয়ে থেকে
সেই বদমাস ছেলেটাও হয়ত দিবে না শিষ।
দিন শেষে সেও হয়ত খুজবে আমায়,,,
কিন্তু আমি!আমার এতদিনের চোখের কাজল!
চোখের উপর এতদিনের ধারালো পাথুরে চশমা,,
তারা কি আমাকে খোঁজবে?


নাকি আমার সাথেই মেনে নিবে
আমার ঘরের মেঝেতেই
নিরুপায়ের সারে চাষ করা এই গোলাপ,,
ঈশ্বরী গোলাপ।
হস্ত গত পাপড়ির চেয়ে
কল্পিত পাপড়ি রঙ যে বেশ চাংগা।
বেঁচে থাকার যে না শ্বাস এখানে
তার চেয়ে বেশি সেখানে,,,,,
যাকে কভু দেখি নি,,চিনি নি
হউক না সে ঈশ্বর
তবু সে কি
আমার শুয়ে থাকা এই হাসপাতাল হবে?
অন্তত এই হাসপাতাল?


নাকি সেই ছেলেটি,,,যে ক্লাসে আমাকে
দেখেই বলেছিল লাল্টুস,,,
রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে বলেছিল,,,
কথা নাই বা বলো,আমড়াতে একটু লবণ ঢেলে যাও।
যে আমাকে দিস্তার পর দিস্তা চিঠি লিখেছিল,,,
ভালবাসি তোমায়,ভালবাসি তোমায়
লিখেছিল তেত্রিশ কোটি বার।
যে আমার জন্য ছেড়ে দিয়েছিল সিগারেট,,
যে আমাকে ভেবেই রাতকে করেছিল অবহেলা।


যার জন্য আমি মীরা হব,,,,,
সে কি আমার সেই ছেলেটি হবে,,,,
যে আমাকে রাস্তার উপরেই,,,,,
সবার সম্মুখে দিয়েছিল ঠোটভর এক চুমু।
সে কি এই ছেলেটি হবে,,,যে আমার জন্য
এখনো লিখে যাচ্ছে কবিতা।শুধু কবিতা!
যে কবিতার শেষ লাইনটি
বার বারই লিখছে সে,,বেশ যতনে
বলো হ্যা প্রিয় ঈশ্বর
বলো আমারে
মর্ত্যের স্বাদ মিলবে কি মৃত্যুতে?
÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷÷
রুবেল চন্দ্র দাস
প্যারিস